দুই দশক আগে রাজধানী ঢাকার লালবাগের মেহনাজ আদনান ধানমন্ডির একটি ক্লিনিকে প্রিম্যাচিউর লেবার বা অকালপ্রসব (সময়ের আগে) করেন। নবজাতকটিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরে অন্য একটি হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেয়া হয়। যদিও ১০ দিন পর মারা যায় নবজাতকটি। মূলত সময়ের আগে জন্ম নেয়ায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি ধানমন্ডির ক্লিনিকটি।
দেড় দশক আগে ফুটপাতে হেঁটে যাওয়ার সময় ভবনের কার্নিশ ভেঙে মাথায় পড়ে শাহ ইমরানের। গুরুতর আহত অবস্থায় রাজধানীর দুটি বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে তাকে নেয়া হয় টারশিয়ারি পর্যায়ের সরকারি এক হাসপাতালে। এরপর মারা যান তিনি। ইমরানের চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে চিকিৎসক ও স্বজনদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। চিকিৎসকদের ধর্মঘটে ১০ ঘণ্টা চিকিৎসাসেবা প্রদান ব্যাহত হয়। কর্তৃপক্ষের মামলায় গ্রেফতার করা হয় ইমরানের স্ত্রীকে।
চিকিৎসায় অবহেলার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় গত বছর রাজধানীর একটি শীর্ষ বেসরকারি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চিকিৎসা নিবন্ধন এক বছরের জন্য বাতিল করে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)। একইভাবে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ রয়েছে অন্য একটি বেসরকারি শীর্ষ হাসপাতালের সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। চিকিৎসায় অবহেলার এমন অভিযোগ নতুন কিছু নয়। অভিযোগের সংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। এমন অভিযোগ এলে যাচাই করে প্রমাণ পেলে চিকিৎসকের নিবন্ধন বাতিল করে বিএমডিসি। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কিন্তু চিকিৎসায় অবহেলা প্রতিরোধ বা প্রতিকারের জন্য বিচার ব্যবস্থায় নেই বিশেষ কোনো আইন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিকিৎসায় অবহেলা হচ্ছে পেশাদারদের মাধ্যমে প্রতিশ্রুত স্বাস্থ্য অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। অবহেলার সঙ্গে চিকিৎসাসংক্রান্ত ত্রুটিও জড়িত। বিষয়টি রোগীকে আহত বা মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। চিকিৎসা প্রদানকারীদের ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভুল ও চিকিৎসার প্রক্রিয়াগত মান বজায় না রাখার বিষয়টি অবহেলার পর্যায়ে পড়ে। চিকিৎসায় অসদাচরণ (ম্যালপ্র্যাকটিস) হচ্ছে নিবন্ধিত পেশাদার পরিচালনা পর্ষদ থাকার পরও নির্ধারিত মান অনুযায়ী সেবা প্রদানে ব্যর্থতা। এর প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য দেশে সুনির্দিষ্ট ও ব্যাপক আইন নেই। বেশির ভাগ ঘটনা থেকে যায় শাস্তির বাইরে। ফলে প্রায়ই তা সহিংস রূপ নেয়। ফলে চিকিৎসাসেবার বিষয়ে মানুষের ধারণা দিন দিন নিম্নমুখী হচ্ছে।
আইনজীবীরা বলছেন, বাংলাদেশ সংবিধানে বর্ণিত নাগরিকদের মৌলিক অধিকারে চিকিৎসাসেবা দেয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তবে চিকিৎসায় অবহেলার কারণে আহত বা মৃত্যুর ঘটনায় শাস্তি বা ক্ষতিপূরণে বিশেষ আইন নেই। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ অনুযায়ী, কোনো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসা বা অবহেলার অভিযোগ প্রমাণিত হলে পেশাগত নৈতিকতার প্রশ্নে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে বিএমডিসি। নিবন্ধন স্থায়ী বা সাময়িকভাবে বাতিল করতে পারে কাউন্সিল। এছাড়া ১৯৮২ সালের মেডিকেল প্র্যাকটিস ও প্রাইভেট ক্লিনিক এবং ল্যাবরেটরিজ (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশের ক্ষমতাবলে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০০৯ সালের ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা আইনে চিকিৎসায় অবহেলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়। তবে এতে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে অন্যান্য বিষয়ের মতো অর্থের বিনিময়ে ক্রয়কৃত সেবা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। টর্ট আইন বাংলাদেশে চালু থাকলেও আইনি ব্যবস্থায় সুপ্রতিষ্ঠিত নয়। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি বিভিন্ন ধারায় মামলা হয়।
মেডিকেল নেগলিজেন্স বা চিকিৎসায় অবহেলার জন্য সুনির্দিষ্ট আইন প্রয়োজন বলে মনে করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘মেডিকেল নেগলেজেন্সি নিয়ে একটি খসড়া আইন ল কমিশনে বেশ কয়েক বছর ধরে পড়ে আছে। এটা ব্যাপক একটি খসড়া। খসড়াটি নিয়ে আলোচনা শুরু করা উচিত। যেসব আইন রয়েছে তাতে মামলা করা যায়, তবে চিকিৎসায় অবহেলার জন্য সুনির্দিষ্ট আইনের বিকল্প নেই। আইন হলে অবহেলার বিষয়টি আদালতে নেয়া অনেক সহজ হবে। আমাদের দেশে টর্ট আইন একেবারেই কার্যকর নয়। দেশে মামলার জট এত বেশি যে নিম্ন আদালত থেকে আপিল বিভাগে আসতে আসতে দুই যুগ পার হয়ে যাবে। আদালত প্রমাণসাপেক্ষে রায় দেবেন। বর্তমান যেসব আইন ও বিধি রয়েছে তাতে হাসপাতালগুলোর রেকর্ড রাখার বিষয়টি নেই। প্রমাণ যখন চাওয়া হয় তখন রেকর্ড থাকে না। বিএমডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যেসব বিধি বা আইন রয়েছে তাতে অভিযোগ করা সহজ নয়। এসব আইন সময় উপযোগী করা হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োগ করাও হয় না।’
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স মেডিসিন বলছে, চিকিৎসাসংক্রান্ত ভুল বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার মৃত্যুর কারণ। সব চিকিৎসায় অবহেলা মৃত্যুতেই শেষ হয় না। কিছু অবহেলা স্থায়ী ক্ষতি, গুরুতর ব্যথা, বিকৃতি ও শারীরিক অক্ষমতা সৃষ্টি করে। রোগীর যত্ন উন্নতকরণে চিকিৎসাসেবাকে ভুলের জন্য দায়বদ্ধ রাখা জরুরি।
বাংলাদেশে চিকিৎসায় অবহেলার কারণে কতসংখ্যক মানুষ মারা যায় বা আহত হচ্ছে, তার সঠিক হিসাব নেই। তবে বিভিন্ন গবেষণায় সেবাগ্রহীতাদের অসন্তুষ্টি, মানহীন চিকিৎসা ও রোগ নিরীক্ষার কথা উঠে এসেছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ফ্রন্টিয়ার্সের এক গবেষণা বলছে, স্বাস্থ্যসেবাগ্রহীতাদের সন্তুষ্টির হার ৬৫ শতাংশ। এর মধ্যে সরকারিতে ৫১ ও বেসরকারিতে ৭৫ শতাংশ। ৩৫ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগীরা হাসপাতালের কর্মীদের ব্যবহারে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। একইভাবে ৩৩ শতাংশ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সেবা, ৩৭ শতাংশ ক্ষেত্রে সাধারণ সেবা ও ৪২ শতাংশ ক্ষেত্রে সেবার বিষয়ে রোগীর পরিবারের অসন্তোষ রয়েছে।
কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের অনুপস্থিতি অবহেলার অন্যতম কারণ বলে বিভিন্ন গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে। সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা (ইউএইচসি) অর্জনের পথে বিষয়টি বড় বাধা। দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, কাজের অতিরিক্ত চাপ, কর্মজীবনে অগ্রগতির প্রতিবন্ধকতা অনুপস্থিতিকে প্রভাবিত করে। চলতি মাসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রকাশিত ‘হেলথ বুলেটিন ২০২০’ বলছে, সরকারি স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকারীদের সুবিধার্থে ২০১২ সাল থেকে সেলফোনের খুদেবার্তায় (এসএমএস) অভিযোগ নেয়া শুরু হয়। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ২৪ হাজার অভিযোগ, পরামর্শ ও ইতিবাচক মন্তব্য এসেছে। এসবের মধ্যে ৩২ শতাংশ হচ্ছে চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের অনুপস্থিতিবিষয়ক। সেবার সংখ্যা ও মান নিয়ে অভিযোগ রয়েছে ৩৩ শতাংশ।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট জেআর খান রবিন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘সংবিধানের ১৫ (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী চিকিৎসাসেবা পাওয়া নাগরিকের অধিকার। চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে অবহেলা করলে বা ভুল চিকিৎসা দিলে মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরি অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে। বিএমডিসি অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে পারে। এছাড়া সিভিল কোর্ট ও ভোক্তা অধিকার আইনে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। দেশে চিকিৎসায় অবহেলা ও অপচিকিৎসার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিশেষ কোনো আদালত নেই। সংবিধানের ৩২ নম্বর ধারা অনুযায়ী জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার রক্ষার্থে মামলা করে ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়। আমাদের টর্ট আইনে চিকিৎসা অবহেলার বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো বিষয় নেই।’
দেশে মেডিকেল নেগলিজেন্স বিষয়ে কাজ করছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক নূর খান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘সাধারণ মানুষের একটা ধারণা যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে। অনেক ক্ষেত্রেই ত্রুটির ন্যায্য বিচার পাওয়া যায় না। বর্তমান কাঠামোর দুর্বলতায় চিকিৎসার অবহেলায় ডাক্তারদের বিরুদ্ধে মামলা হতে দেখা যায় না। যদিও দুই-একটা মামলা হয় তাও মাঝপথে থেমে যায়। আইনি দুর্বলতার পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের দায় রয়েছে। স্বাস্থ্য খাতে যতটা বিনিয়োগ দরকার তা না করে এক ধরনের অবহেলার মধ্যে রাখা হচ্ছে।’
সংস্থাটির মতে, দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যকে বাণিজ্যিকীকরণ না করে সেবার জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। স্বাস্থ্যকে লাভজনক ব্যবসায় রূপান্তর করার মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্যসেবার জায়গাটি ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবার একটা ক্ষেত্র ওষুধ শিল্প। যেখানে কিছু ডাক্তার কিছু নির্দিষ্ট ওষুধকে বাজারে প্রচারের জন্য প্রণোদনা গ্রহণ করেন। কখনো টাকা, উপহার বা কখনো বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ পেয়ে অনেক অপ্রয়োজনীয় ওষুধ বাজারে চালু রাখেন। আইনি দুর্বলতার কারণে এ বিষয়গুলো নিয়ে কোনো অভিযোগ বা কাউকে কাজ করতে দেখা যায় না। স্বাস্থ্য খাতে আরো একটি বড় বাধা হলো দুর্নীতি। গত কয়েক বছরে সেটি ভয়াবহ বেড়েছে।
বিএমডিসির তথ্য বলছে, বর্তমানে ৩০টি অভিযোগ নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। বিএমডিসিতে করা অভিযোগের বিষয়ে যথাযথ নিয়ম মেনে তা নিষ্পত্তি করা হয়। এতে কখনো কখনো চিকিৎসক অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান, কখনো আপসে মীমাংসা বা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন অভিযোগকারী। বিএমডিসির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. লিয়াকত হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিএমডিসি পেশাগত দিক দিয়ে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। কোনো ধরনের আর্থিক বিষয়ের অভিযোগ আমলে নেয়া বা ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ এখানে নেই।’
স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনসম্পর্কিত জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই মাহবুব বণিক বার্তাকে বলেন, ‘চিকিৎসাধীন অবস্থায় কেউ মারা গেলে তা চিকিৎসা অবহেলার কারণে হয়েছে এ অভিযোগ তুলে রোগীর স্বজনরা দেওয়ানি আদালতে মামলা করতে পারেন। চিকিৎসা “ক্রিমিন্যাল অফেন্স” বা ফৌজদারি অপরাধ নয়। বাংলাদেশে বেশির ভাগ চিকিৎসায় অবহেলার মামলা ফৌজদারি আদালতে হয়। রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার চিকিৎসকরা অনুমোদিত। চিকিৎসকের অনৈতিক কাজে রোগীর মৃত্যু হয় বা ক্ষতি হয়, সেই বিষয়টি বিএমডিসি দেখে। ভুল চিকিৎসার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে টর্ট আইনে বিচার হবে। তবে বাংলাদেশে তা কার্যকর নয়। আবেগতাড়িত হয়ে চিকিৎসায় অবহেলা বলা হয়। বিষয়টি প্রমাণ করতে হবে। সব দেশের মেডিকেল কাউন্সিল চিকিৎসকদের পেশাগত নৈতিকতার বিষয়টি দেখভাল করে। উন্নত বিশ্বে চিকিৎসায় অবহেলার বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য টর্ট আইনে পরিচালিত আদালত রয়েছে।’
তার মতে, সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাকে সুষ্ঠুভাবে তদারক করতে হবে। চিকিৎসার সময় অবশ্যই রোগী ও স্বজনের পরিস্থিতি সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য দিতে হবে। সম্ভাব্য ক্ষতির কারণগুলোও ব্যাখ্যা করতে হবে।
চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পেশাগত ব্যবস্থা নেয়ার সর্বোচ্চ সংস্থা বিএমডিসি উল্লেখ করে বিএমএর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হয়। ক্ষতিপূরণের জন্য কোনো ব্যবস্থা এখানে নেই। আমরা চেষ্টা করছি স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে। এতে চিকিৎসক ও সেবাগ্রহীতাদের অধিকার রক্ষা হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘সেবা গ্রহণ করতে গিয়ে অবহেলার শিকার হলে সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ করার সুযোগ রয়েছে। চিকিৎসক কোনো রোগীর ক্ষতি করতে পারেন না। শপথ নিয়ে চিকিৎসকরা পেশায় প্রবেশ করেন।’