প্রযুক্তির উৎকর্ষে স্বাস্থ্যসেবার পদ্ধতি ও ধরন প্রতিনিয়তই পরিবর্তিত হচ্ছে। ঠিক তেমনিভাবে চিকিৎসা শিক্ষাও এগিয়ে যাচ্ছে। সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের চিকিৎসা শিক্ষার কারিকুলাম, ব্যবস্থাপনা ও এর প্রসার বেড়েছে। চল্লিশের দশক ব্রিটিশ আমলে দেশের মাটিতে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে চিকিৎসা শিক্ষার যাত্রা শুরু হয়। এরপর কেটে গেছে প্রায় আট দশক। এর মধ্যে পরিসর বেড়েছে বিশেষায়িত এ শিক্ষা ব্যবস্থার। প্রতি বছরই দেশের স্বাস্থ্যসেবায় যুক্ত হচ্ছেন সদ্য ডিগ্রি অর্জনকারী চিকিৎসক। সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো থেকে ডিগ্রি অর্জনের লক্ষ্যে তিন হাজারেরও বেশি বিদেশী শিক্ষার্থী আসছেন বাংলাদেশে। উৎকর্ষের ক্রমধারা অব্যাহত থাকলে দেশের চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থা আরো সমৃদ্ধ হবে বলে মনে করছেন চিকিৎসা শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
দেশে চিকিৎসা শিক্ষার প্রথম প্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিকেল কলেজ। ব্রিটিশ আমলে দেশের মাটিতে চিকিৎসার শিক্ষার প্রতিষ্ঠানটি নতুন যুগের সূচনায় অবদান রেখেছে। ১৯৪৬ সালের ১০ জুলাই যাত্রা শুরু করে কলেজটি। যদিও ঢাকায় একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার মূল ধারণাটি ১৯৩৯ সালে ব্রিটিশ সরকারের কাছে দেয়া হয়েছিল বলে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। সূচনালগ্নে বর্তমান কলেজ হাসপাতাল ভবনে মাত্র চারটি বিভাগ—মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি ও অটোল্যারিঙ্গোলজি নিয়ে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে ৪২টি বিভাগে এমবিবিএস বা ব্যাচেলর অব মেডিসিন, ব্যাচেলর অব সার্জারি ও স্নাতকোত্তর উভয় কোর্স রয়েছে। এখন এমবিবিএস কোর্সে প্রতি বছর প্রায় ১৯০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছেন। স্নাতকোত্তর কোর্স ৪২টি বিষয়ে এমডি, এমফিল ও ডিপ্লোমা প্রদান করা হয় ও কোর্সগুলো এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে সরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে ৩৭টি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ৬৬টি। সর্বশেষ ২০২১ সালে ৩৭তম সরকারি মেডিকেল কলেজ হিসেবে সুনামগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ যাত্রা শুরু করে। আর দেশে ১৯৮৬ সালের ১৩ এপ্রিল প্রথম বেসরকারি মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। কলেজটি বাংলাদেশ মেডিকেল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বিএমএসআরআই) দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এখন বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬-এ। বর্তমানে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোয় প্রতি শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির জন্য ৪ হাজার ৩৫০টি ও বেসরকারিতে ৬ হাজার ২০৮টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সর্বশেষ প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে (২০২১-২২) বলা হয়, চিকিৎসা শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে সরকার প্রতিটি জেলায় একটি করে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সময়ের প্রয়োজনে মেডিকেল কলেজগুলোয় আসনসংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। বিগত ১০ বছরে দেশের এমবিবিএস কোর্সে আসনসংখ্যা ও মেডিকেল কলেজের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৯ সালে দেশে মোট মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ছিল ৫০। এর মধ্যে সরকারি ১৭টি, বেসরকারি ৩২টি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত একটি। ২০২২ সালে যা বৃদ্ধি পেয়ে সরকারি ৩৭টি, বেসরকারি ৭২টি ও সেনাবাহিনী পরিচালিত সরকারি একটি ও বেসরকারি পাঁচটিতে দাঁড়িয়েছে। একইভাবে এমবিবিএস কোর্সের আসনসংখ্যা ২০০৯ সালে ২ হাজার ৫০টি থেকে ২০২২ সালে এসে ১০ হাজার ৭৮৯টিতে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, দেশে যেসব বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠান তার শিক্ষবর্ষের মোট আসনের সর্বোচ্চ ৪৫ শতাংশ বিদেশী শিক্ষা ভর্তি করতে পারবে। অর্থাৎ ২ হাজার ৭৯৪টি আসনে বিদেশী শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন রয়েছে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোয়। তবে এজন্য শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পর বেসরকারি মেডিকেল কলেজকে অন্তত পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে। যদি কোনো বেসরকারি মেডিকেল কলেজ বিদেশী শিক্ষার্থী ভর্তি করতে না চায় তবে সেক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আর সরকারি মেডিকেল কলেজে বিদেশী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা খুবই কম। গত শিক্ষাবর্ষে ২১৬ জন বিদেশী শিক্ষার্থী সরকারের মেডিকেল কলেজগুলোয় ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এর মধ্যে সার্কভুক্ত দেশগুলোর জন্য ১১৭টি ও অন্যান্য দেশের জন্য রয়েছে ৯৯টি আসন। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে অন্তত ২০টি দেশের শিক্ষার্থীরা এমবিবিএস ডিগ্রিতে অধ্যয়ন করছেন। এসব দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ভারত, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ, নাইজেরিয়া, মালি ও শ্রীলংকা।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন বলছে, চিকিৎসা শিক্ষার শিল্প শুধু পর্যাপ্ত সময় উপযোগী চিকিৎসা জ্ঞান ও প্রচুর ক্লিনিক্যাল অভিজ্ঞতাই নিশ্চিত করেনি, এর থেকেও অনেক বেশি বিস্তৃতি ঘটেছে। এ শিক্ষা এমন একটি শিক্ষণ পদ্ধতি যা নিকট ভবিষ্যতের সম্প্রদায়ের সেবা করার জন্য ব্যক্তিকে প্রস্তুত করছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা সেবাদানকারী হিসেবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় জটিল সমস্যা সমাধানে সহায়ক হয়ে উঠবেন। চিকিৎসা শিক্ষার শিল্প হলো এমনই একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাগুলোর সঙ্গে ঐতিহ্যের ধারণার সম্পর্কের পরিবর্তন মোকাবেলায় ভূমিকা রাখছে। চিকিৎসা শিক্ষা একটি বহুমুখী প্রক্রিয়া। ফলে এর মান উন্নয়ন হওয়া উচিত।
চিকিৎসা শিক্ষার বিষয়ে ওয়ার্ল্ড মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউএমএ) বলছে, চিকিৎসা শিক্ষার মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা শিক্ষা, স্নাতকোত্তর চিকিৎসা শিক্ষা ও ক্রমাগত পেশাগত উন্নয়ন। চিকিৎসা শিক্ষা একটি গতিশীল প্রক্রিয়া, যা প্রাথমিক চিকিৎসা শিক্ষার (মেডিকেল স্কুল) শুরুতে শুরু হয়। এ প্রক্রিয়া একজন চিকিৎসক যতদিন পর্যন্ত না তার সক্রিয় অনুশীলন থেকে অবসর নেন ততক্ষণ পর্যন্ত চলমান থাকে। চিকিৎসা শিক্ষার লক্ষ্য হচ্ছে স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের সমৃদ্ধি, মানুষের রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময় এবং লক্ষণগুলো প্রশমিত করার জন্য সর্বশেষ বৈজ্ঞানিক জ্ঞান প্রয়োগ করার জন্য চিকিৎসকদের প্রস্তুত করা। নিজেদের পেশাগত অবস্থান ও রোগীদের চিকিৎসার জন্য উচ্চমান বজায় রাখার দায়িত্ব চিকিৎসকদের রয়েছে। চিকিৎসা শিক্ষার মৌলিক নীতির মধ্যে চিকিৎকদের দক্ষতা ও যোগ্যতা অর্জন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের পেশাগত ও নৈতিকভাবে সর্বোচ্চ স্তরে অনুশীলন করার বিষয়াবলি রয়েছে। চিকিৎসা শিক্ষার মান বজায় রাখার ক্ষেত্রে চিকিৎসক, চিকিৎসা অনুষদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারের দায়িত্ব রয়েছে।
বিশ্বব্যাপী চিকিৎসকদের চিকিৎসা শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করছে ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই)। ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী চিকিৎসা শিক্ষার হালনাগাদকৃত মানদণ্ডের তৃতীয় সংস্করণে বলা হয়, বিশ্বের চিকিৎসা শিক্ষার বিশেষজ্ঞরা চিকিৎসার সর্বোত্তম অনুশীলনের জন্য মান উন্নয়নের নির্দেশকগুলোর বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন। মানগুলো স্থানীয় প্রেক্ষাপটের সঙ্গে যুক্ত। শিক্ষাগত, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিস্থিতি, রোগের বিভিন্ন ধরন এবং সামাজিক দায়বদ্ধতাকে সমর্থন করার জন্য শিক্ষামূলক কর্মসূচির বৈচিত্র্য গড়ে তুলতে হবে। মানগুলো মেডিকেল স্কুল ও চিকিৎসা শিক্ষার অন্যান্য প্রদানকারীর জন্য একটি অতি দ্রুত এবং কার্যকরী ডিজাইন বা টেমপ্লেট তৈরি করে। এক্ষেত্রে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক, জাতীয় ও আঞ্চলিক মান নির্ধারণ ও মানোন্নয়নের জন্য দায়িত্বশীল।
ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশনের (ডব্লিউএফএমই) সাবেক জ্যেষ্ঠ পরামর্শক ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক বণিক বার্তাকে বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে চিকিৎসা শিক্ষার যথেষ্ট সম্প্রসারণ হয়েছে। চিকিৎসা শিক্ষার প্রসারে বেসরকারি উদ্যোগ দেখা দেয় আশির দশকে। প্রথমে আমাদের শিক্ষকের সংকট ছিল। খুব তাড়াতাড়ি বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো স্থাপিত হতে থাকে। এর মাধ্যমে সংকট কমতে থাকে। বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা শতাধিক। এর মধ্যে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে প্রশিক্ষণের মান নিয়ে। মেডিকেল কলেজের প্রশিক্ষণের মান নির্ভর করে মেধাভিত্তিক শিক্ষার্থীদের ওপর। তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষকদের স্বল্পতা যেন না থাকে। পাশাপাশি প্রশিক্ষণের চিকিৎসা উপকরণ, ল্যাব সুবিধা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পর্যাপ্ত থাকলে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের প্রশিক্ষণের মান ভালো হয়। প্রথমদিকে শিক্ষকস্বল্পতা ছিল। পরবর্তী সময়ে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো হওয়ার পরে শিক্ষকস্বল্পতা কমতে থাকে। সরকারের চেষ্টায় বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষা উপকরণগুলো বেশ সমৃদ্ধি লাভ করেছে। যার ফলে মেডিকেল শিক্ষার একটি ভালো সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা আরো ভালো করতে পারব।’
চিকিৎসা শিক্ষার এ বিশেষজ্ঞের মতে, চিকিৎসা শিক্ষাকে ভালো করতে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে (বিএমডিসি) উদ্যোগী হতে হবে। এ সংস্থার পক্ষ থেকে যথাযথ পর্যবেক্ষণ ও তদারকি প্রয়োজন। তাদের সুনির্দিষ্ট মানদণ্ডও রয়েছে। সেই মানদণ্ড অনুযায়ী প্রতিটি মেডিকেল কলেজকে পর্যবেক্ষণ করতে পারলে দেশের চিকিৎসকরাই প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করতে পারবেন। দেশে চিকিৎসকরা উচ্চতর ডিগ্রির জন্য বিদেশে যাচ্ছেন, অনেক দেশের চাকরিও পাচ্ছেন। প্রশিক্ষণের মান সঠিক হচ্ছে কিনা, সেটা দেখার দায়িত্ব মেডিকেল কাউন্সিলের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোরও। বিশেষ করে পরীক্ষা নেয়ার দায়িত্বও তাদের ওপর থাকে। একটি ত্রিমাত্রিক চেষ্টা করা দরকার। সরকার, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল এবং ডেন্টাল কাউন্সিল এবং কলেজগুলোয় চেষ্টায় আগামী দিনে দেশের মেডিকেল কলেজগুলো ভালো ফলাফল বয়ে আনতে পারবে। এতে শুরুতেই লাভবান হবে দেশের জনগণ। এছাড়া দেশের বাইরে গিয়ে, মেধা খাটিয়ে তারা সুনামও বয়ে আনতে পারবে। বাংলাদেশে যে চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থা আছে তা অনেক দেশেই নেই। চিকিৎসা শিক্ষার মান বাড়াতে হলে প্রশিক্ষণের জন্য প্রশিক্ষক ও শিক্ষার প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করতে হবে। বিদেশী শিক্ষার্থীরা এ দেশ থেকে ডিগ্রি অর্জন করে ফিরে গিয়ে সেসব দেশের মেডিকেল কাউন্সিলের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নেয়। তবেই তারা নিজ দেশে চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত হতে পারে। সেখানে বাংলাদেশ থেকে ডিগ্রি অর্জনকারীরা যেন আরো ভালো অবস্থান নিতে পারে এজন্য চিকিৎসা শিক্ষার মান ভালো করতে হবে। তাহলে শুধু আঞ্চলিক রাষ্ট্রসমূহ না, পূর্ব ইউরোপ, আমেরিকার রাষ্ট্রগুলো থেকেও শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে আসবে।