জেলা হাসপাতাল: মধ্যরাতে জরুরি বিভাগে মেলে না জরুরি চিকিৎসা

সড়ক দুর্ঘটনায় গত ২৬ ডিসেম্বর মধ্যরাতে গুরুতর আহত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সমীরণ সাহা। তাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। চিকিৎসা শুরুর আগে তার এক্স-রে ও সিটি স্ক্যানের প্রয়োজন হলেও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তাই সমীরণকে ব্যথানাশক ওষুধ দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন সকালে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসা শুরু হয় তার।

নিয়মিত সময়ের (সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা) বাইরে দেশের জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোয় জরুরি বিভাগের চিত্র প্রায় একই। মাধ্যমিক পর্যায়ের এসব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে মূলত দুপুর থেকে ভোর পর্যন্ত প্রয়োজনীয় জরুরি চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। গুরুতর রোগীদের তাৎক্ষণিক রোগ নির্ণয় সুবিধা না থাকায় অত্যাবশ্যকীয় চিকিৎসা শুরু করা কিংবা বিশেষায়িত হাসপাতালে পাঠানোর ক্ষেত্রে কালক্ষেপণ হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে জরুরি ব্যবস্থাপনার অভাবে জীবনের ঝুঁকিতেও পড়ছে রোগীরা।

জেলা হাসপাতালগুলো মূলত মাধ্যমিক পর্যায়ের। এর পরের স্তর বিশেষায়িত। ফলে দেশের জেলা হাসপাতালগুলোর গুরুত্ব অনেক। এসব চিকিৎসা কেন্দ্রের জরুরি বিভাগে ইসিজি, আরবিএস, এক্স-রে, ইউএসজি, ইলেকট্রোলাইট, এফবিএসসহ প্রয়োজনীয় ল্যাব সুবিধা থাকার নিয়ম। যদিও সেবাপ্রত্যাশীদের অভিযোগ, জরুরি মুহূর্তে চিকিৎসা নিতে গেলে কর্তব্যরতরা বিভিন্ন সংকটের কথা জানান। জরুরি ভিত্তিতে ছোট কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেও ছোটাছুটি করতে হয় বেসরকারি হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকে। অবশ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষগুলোর দাবি, লোকবলের অভাবে যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা সবসময় করা যায় না। কোথাও কোথাও আবার চিকিৎসা যন্ত্রাংশেরই সংকট।

রোগতত্ত্ববিদ ও জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ চালু থাকতে হবে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা। থাকতে হবে প্রাথমিক রোগ নির্ণয়ের সব ব্যবস্থাও। সন্ধ্যা কিংবা মধ্যরাত, রোগী যে সময়ই আসুক না কেন প্রাথমিকভাবে রোগ শনাক্ত করে পরবর্তী চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সক্ষমতার বাইরে হলে রোগীকে পাঠাতে হবে সুনির্দিষ্ট হাসপাতালে।

হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া ৬৫ ঊর্ধ্ব মাকে নিয়ে গত ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর নেত্রকোনা জেলা হাসপাতালে ছুটে যান আইনজীবী রাজীব সাহা। তাৎক্ষণিক ইসিজি করা হলেও সঠিক রোগ নির্ণয় করা যায়নি। বুকে ব্যথা থাকায় চিকিৎসকের পরামর্শে বাইরের ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে নিয়ে খাওয়ানো হয়। তাতেও উন্নতি না হওয়ায় রাতেই মাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান রাজীব। তবে হাসপাতালের সরকারি অ্যাম্বুলেন্স চেয়েও পাওয়া যায়নি বলে জানান ওই আইনজীবী।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের অত্যাবশ্যকীয় কিছু সেবার কথা উল্লেখ করেছে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল এলসিভিয়ার। তাতে বলা হয়, গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজনে একটি দক্ষ চিকিৎসক, নার্স ও সহকারীদের সমন্বিত দল থাকতে হবে। রোগীর শারীরিক অবস্থা কেমন, কতটুকু আহত এবং রোগ নির্ণয়ের জন্য থাকতে হবে কিছু ব্যবস্থা। শিশু, কার্ডিয়াক, ট্রমা, জেরিয়াট্রিক, বার্ন, স্ট্রোক রোগীদের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাপনার আওতায় আনার সক্ষমতা থাকতে হবে। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দুর্ঘটনা, সন্ত্রাসী হামলায় আহত রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হয় জরুরি বিভাগে।

আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নাল জামা নেটওয়ার্ক বলছে, জরুরি বিভাগ রোগী আসার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সম্পূর্ণ ইতিহাস নেয়া, শারীরিক পরীক্ষা ও জরুরি বিভাগে আনুষঙ্গিক পরীক্ষার ফলাফলের পর্যালোচনা করবে। এর মধ্যে বেসিক হেমাটোলজি (রক্ত সম্বন্ধীয়), রসায়ন পরীক্ষা, ফ্যাস্টিং ব্লাড সুগার (এফবিএস), র‌্যান্ডম ব্লাড সুগার (আরবিএস), ইউরিনালাইসিস (মূত্রনালীর সংক্রমণ, কিডনি রোগ ও ডায়াবেটিস শনাক্ত), ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাফি (ইসিজি), বুকের রেডিওগ্রাফি (চেস্ট এক্স-রে), ট্রপোনিন, সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন (শরীরের প্রদাহের মাত্রা পরিমাপ), কম্পিউটেড টমোগ্রাফি স্ক্যান (সিটি স্ক্যান), আল্ট্রাসনোগ্রাফি (ইউএসজি) সুবিধা জরুরি বিভাগে থাকা অত্যাবশ্যক।

দেশে আট বিভাগের অন্তত ১৫ জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এবং তাদের জরুরি বিভাগ সরজমিন ঘুরে চিকিৎসার অপর্যপ্ততা দেখা যায়। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মুন্সিগঞ্জ জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রয়েছে কেবল ইসিজি ও আরবিএস পরীক্ষার সুবিধা। সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রামসহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ল্যাব সুবিধা থাকলেও এরপর আর সে সুযোগ মেলে না। ১০০ শয্যার লক্ষ্মীপুর জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়মিত সময়ের পর আসা রোগীদের জন্য কোনো ল্যাব সুবিধাই নেই। শুধু ইসিজি করা যায়। আর কিট থাকলে মেলে আরবিএস পরীক্ষা।

লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন ও হাসপাতালপ্রধান ডা. আহাম্মদ কবীর বণিক বার্তাকে বলেন, ‘অফিস টাইমের পর ল্যাব সুবিধা থাকে না। জরুরি বিভাগে আলাদা করে ইউএসজি নেই। ৫০ শয্যার লোকবল নিয়ে ১০০ শয্যা চালাতে হচ্ছে। আর শয্যা অনুযায়ী রোগী ভর্তির হার (বেড অকুপেন্সি রেট) ৩০০ শতাংশ।’

পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে ১০০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগে কেবল ইসিজি করা যায়। হাসপাতালে নেই কোনো রেডিওলজিস্ট। তবে দিনের বেলা এক্স-রে ও ইউএসজি করা হয়। সব কার্যক্রমই চলছে অর্ধেক লোকবল দিয়ে। তবে বৈকালিক কনসালটেশন শুরু করা গেলে সন্ধ্যা পর্যন্ত সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালু করা যাবে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. নিহার রঞ্জন নন্দী।

খাগড়াছড়ির জেলা হাসপাতালও ১০০ শয্যার। অনুমোদন রয়েছে ২৫০ শয্যার। অথচ সেবায় নিয়োজিত ৫০ শয্যার হাসপাতালের জনবল। সিভিল সার্জন ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ ছাবের বণিক বার্তাকে বলেন, ‘জরুরি বিভাগে ইসিজি, নেবুলাইজেশন ও সেন্ট্রাল অক্সিজেনের সুবিধা রয়েছে। অন্যান্য পরীক্ষা সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে। এর বাইরে খুব জরুরি প্রয়োজন হলে এক্স-রেসহ অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ফোন করে টেকনোলজিস্ট ডেকে আনা হয়।’

একইভাবে বান্দরবান ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতালে লোকবল রয়েছে ৫০ শয্যার। জরুরি বিভাগে নেই ল্যাব সুবিধা। এ অঞ্চলে মূলত ম্যালেরিয়া, ইসিজি ও ব্লাড সুগার পরীক্ষা, কুকুরের কামড় ও সাপের কামড়ের রোগী বেশি আসে। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. এসএম আসাদুল্লাহ বলেন, ‘এখানে সবচেয়ে বেশি সংকট জনবলের। এরপর যন্ত্রপাতির। রাতে সাধারণত জেলা সদরের কোথাও কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয় না। বিভিন্ন উপজেলা থেকে এ হাসপাতালে রেফারে রোগী আসে। পাশের তিন উপজেলা থেকে রোগী আসার হার সবচেয়ে বেশি।’

কুড়িগ্রাম ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতালে জরুরি বিভাগের শুধু ইসিজি করা হয়। তবে জরুরি বিভাগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে অফিস সময় ধরেই। একই অবস্থা পঞ্চগড় জেলা হাসপাতালের। ২৫০ শয্যার অনুমোদন পাওয়া হাসপাতালটিতে ১০০ শয্যায় রোগী ভর্তি করা হচ্ছে। জরুরি বিভাগে রয়েছে ইসিজি ও গ্লুকোমিটার। ঠাকুরগাঁও জেলা হাসপাতালেও জরুরি বিভাগে আসা রোগীদের জন্য নেই এক্স-রে, ইউএসজি ও রক্ত পরীক্ষার সুবিধা। এসব খুব জরুরি হলে ফোন করে ডাকা হয় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক বা টেকনোলজিস্টকে।

বরিশাল বিভাগের দ্বীপ জেলা ভোলায় ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতালে রোগী ভর্তি হার গড়ে ২০০ শতাংশ। কখনো কখনো তা ৩০০ শতাংশও ছাড়িয়ে যায়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসা বলতে অন্যান্য হাসপাতালের মতোই। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মনিরুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘জরুরি বিভাগে ইজিসি ও গ্লুকোমিটার রয়েছে। তবে অন্যন্য পরীক্ষা সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হয়।’

জামালপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ইসিজি, ব্লাড গ্রুপিং ও ক্রসম্যাচের সুবিধা রয়েছে। এছাড়া অফিস সময়ের পর অন্য কোনো সুবিধা পাওয়া যায় না বলে জানান হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘সাধারণ সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হয়। বৈকালিক কনসালটেশন চালু থাকায় সন্ধ্যা পর্যন্তও এসব সুবিধা দেয়া হয়। তবে লোকবল না থাকায় রাতে দেয়া যায় না।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০১৯ সালে দেশের সরকারি সব পর্যায়ের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে এসেছিল ১ কোটি ৩২ হাজার রোগী। ২০২০ সালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেয়ার সংখ্যা ৭৭ লাখের কিছু বেশি। ওই বছর করোনা মাহামারী শুরু হওয়ায় জরুরি বিভাগের চিকিৎসা নেয়ার হার কম ছিল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে চিকিৎসা অপর্যাপ্ততার কারণে কর্তব্যরতরা সহিংসতার শিকার হচ্ছেন বলেও গবেষণা উঠে এসেছে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক জার্নাল প্রকাশনা সংস্থা ফ্রন্টিয়ার্সে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, হাসপাতালে সহিংসতার শিকার সবচেয়ে বেশি হয়েছেন জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। আবার রাত ও দিনের তিন সময়ে (রোস্টার) কর্মরতদের মধ্যে রাতে দায়িত্ব পালনকারীরাই সবচেয়ে বেশি সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। মূলত রোগীদের সঙ্গে আসা স্বজনদের মাধ্যমেই তারা আক্রান্ত হন।

দেশের চিকিৎসা কাঠামোর মধ্যে জরুরি সেবা কিছুটা উপেক্ষিত বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. শাহ মনির হোসেন। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘জরুরি স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে আমাদের যেমন লোকবলের সংকট রয়েছে তেমনি রয়েছে ব্যবস্থাপনার অভাব। জরুরি সেবা মানে জরুরি সেবা। সেখানে স্বাভাবিকভাবে অনেক রোগ নিরীক্ষার ব্যবস্থা থাকার কথা নয়। তবে ন্যূনতম কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা থাকতে হবে, যাতে রোগীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া যায় এবং অন্য কোনো হাসপাতালে পাঠাতে হলে তার ব্যবস্থা করা যায়। সারা দেশে জারুরি সেবার বিষয়টি যেভাবে হওয়ার কথা ছিল সেভাবে হয়নি। পঞ্চম স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচিতে জরুরি সেবার বিষয়টি রয়েছে। আগামী জুলাইয়ে ওই কর্মসূচি শুরু হবে। এতে জরুরি বিভাগের সেবা আরো বেগবান হবে।’

জেলা হাসপাতালগুলোয় জনবল সংকটের কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘লোকবল থাকলে কোনো হাসপাতাল সন্ধ্যা বা রাতে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেনি এমন অভিযোগ নেই। জেলা হাসপাতালে জরুরি বিভাগের জন্য আলাদা এক্স-রে, ইউএসজি, ল্যাব সুবিধা নেই। হাসপাতালে এককভাবে এ সুবিধা রয়েছে। যেগুলোয় সাধারণত সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সেবা যুক্ত করা হয়। বিদ্যমান সুবিধা দিয়ে সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। হাসপাতালগুলোর কর্তৃপক্ষের এ নিয়ে ইচ্ছার ঘাটতি নেই। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে জরুরি বিভাগের সেবার চিত্র এখন পাল্টেছে।’

Source: Bonik Barta

Share the Post: