হৃদযন্ত্রের রোগ নিরাময়ে শল্য চিকিৎসা (অস্ত্রোপচার) বা সার্জারিতে দক্ষ চিকিৎসককে বলা হয় কার্ডিয়াক সার্জন। আর নবজাতক ও শিশু-কিশোরদের হৃদযন্ত্রের জন্মগতসহ নানা ধরনের জটিলতা নিরাময়ে প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারে দক্ষ শল্যবিদরা পরিচিত পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়াক সার্জন হিসেবে। শিশুদের ক্ষেত্রে বিষয়টি একটু জটিল ও সংবেদনশীল হওয়ায় এ বিষয়ে বিশেষায়িত উচ্চতর জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ আবশ্যক। ২০১৮ সালে দেশে শিশু হৃদরোগীদের শল্য চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ বা পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়াক সার্জনের সংখ্যা ছিল ১০। পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়াক সোসাইটি অব বাংলাদেশের (পিসিএসবি) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে। সে অনুযায়ী গত ছয় বছরে দেশে শিশু হৃদরোগীদের শল্য চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ সার্জন বেড়েছে মাত্র চারজন।
একদিকে শিশুদের হৃদরোগের শল্য চিকিৎসায় দক্ষ সার্জনের অভাব। অন্যদিকে হাসপাতালগুলোয় এ ধরনের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামোও অপ্রতুল। যদিও হাসপাতালগুলোয় এ ধরনের চিকিৎসা সেবাপ্রত্যাশী রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ফলে ভর্তিতে সময়ক্ষেপণসহ নানা ধরনের ভোগান্তি ও জটিলতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে শিশু হৃদরোগী ও তাদের অভিভাবকদের। এ অবস্থায় শিশু হৃদরোগীদের সার্জারি বা শল্য চিকিৎসার জন্য প্রতিবেশী ভারতের ওপর নির্ভরতাও বাড়ছে।
পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়াক সার্জনের মতো শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের (পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজিস্ট) সংখ্যাও একেবারেই যৎসামান্য। পিসিএসবির তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে শিশু হৃদরোগ পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজিস্ট আছেন মাত্র ৪১ জন। ছয় বছর আগে এ সংখ্যা ছিল ২০। এ সময় শিশু কার্ডিওলজিস্টের সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়াক সার্জনের সংখ্যায় তেমন কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।
শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ হতে হলে একজন চিকিৎসককে এ বিষয়ে ডক্টর অব মেডিসিন (এমডি) অথবা ফেলোশিপ অব দ্য কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (এফসিপিএস) ডিগ্রি অর্জন করতে হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশে শিশু হৃদরোগ (মেডিসিন) বিষয়ে পাঁচ বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর এমডি ডিগ্রি চালু আছে শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে (এনআইসিভিডি)। প্রতিষ্ঠান দুটিতে এফসিপিএসও করা যায়। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ শিশু ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রয়েছে শুধু এফসিপিএস করার সুযোগ। আর বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠানেই শিশু কার্ডিয়াক সার্জারির জন্য এমএস (মাস্টার্স অব সার্জারি) বা এফসিপিএস চালু নেই। শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে শিশু কার্ডিয়াক সার্জনদের মধ্যে দুই-তিনজন জটিল অস্ত্রোপচারে দক্ষ হলেও বাকিদের ক্ষেত্রে তা এড়িয়ে চলার প্রবণতা দেখা যায়। এর বড় একটি কারণ বিষয়টিতে দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার অভাব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়াক সোসাইটি অব বাংলাদেশের (পিসিএসবি) সভাপতি ও বিএসএমএমইউর শিশু কার্ডিওলজির অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বাংলাদেশে শিশুদের হৃদরোগের চিকিৎসা অবহেলিত। এর মধ্যে শিশু কার্ডিয়াক মেডিসিনে কিছুটা অগ্রগতি হলেও সার্জারিতে তেমন অগ্রগতি নেই। ঢাকায় শুধু চার-পাঁচটি হাসপাতালে শিশুদের হৃদরোগের বিশেষায়িত চিকিৎসা হয়। বেসরকারিতে শিশুদের কার্ডিয়াক সার্জারি মোটেও নেই। কারণ এতে যে বিনিয়োগ প্রয়োজন, সে অর্থের বিপরীতে মুনাফার সুযোগ ও সম্ভাবনা কম থাকায় বেসরকারি খাত এগিয়ে আসছে না। আমরা দেশে শিশু কার্ডিয়াক সার্জারিতে এমএস চালু করার চেষ্টা করছি। এমএস ও এফসিপিএস চালু করতে পারলে আশা করছি আগামী ১০ বছরের মধ্যে শিশু কার্ডিয়াক সার্জারিতে আমরা বেশ কয়েকজন দক্ষ সার্জন তৈরি করতে পারব। এছাড়া দেশের আট বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য চলমান প্রকল্পটিতে শিশু কার্ডিওলজির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে শিশু কার্ডিয়াক সার্জারির সেবা পাওয়া যায় মাত্র পাঁচটি হাসপাতালে। এর মধ্যে পূর্ণমাত্রার সেবা পাওয়া যায় শুধু বাংলাদেশ হার্ট ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, এনআইসিভিডি ও বিএসএমএমইউতে। আর পূর্ণ বিশেষায়িত সেবা না থাকলেও বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট এবং ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালেও কিছু মাত্রায় এ সেবা পাওয়া যায়। এসব হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের শয্যা সংখ্যাও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। আবার নানা বয়সের হৃদরোগীর চাপ থাকায় হাসপাতালগুলোর অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) প্রতি সপ্তাহে এ বিভাগের রোগীদের অস্ত্রোপচারের সুযোগও পাওয়া যায় খুবই কম। ফলে শিশু হৃদরোগীদের অস্ত্রোপচারের জন্য ভর্তির সুযোগ পেতেও অনেক সময় লেগে যায়।
এমনই এক ভুক্তভোগী শিশু আমিরুল (ছদ্মনাম)। বয়স দুই বছর। জন্ম থেকেই হৃদযন্ত্রে ছিদ্রের জটিলতায় ভুগছে শিশুটি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গত বছরের শুরুতে চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে (এনআইসিভিডি) নিয়ে আসেন তার বাবা-মা। সে সময় বলা হয় শিশুর ওজন ১০ কেজি হওয়ার আগে তার অস্ত্রোপচার করা যাবে না। ওজন ১০ কেজি হওয়ার পর এ বছরের শুরুর দিকে হাসপাতালে ভর্তির জন্য নিয়ে আসা হয় শিশুটিকে। কিন্তু হাসপাতালের প্রক্রিয়াগত জটিলতা ও চিকিৎসাগত সীমাবদ্ধতার কারণে তাকে জুনের আগে ভর্তি করানো যায়নি। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে ভর্তি শিশুটি এখনো অস্ত্রোপচারের শিডিউল বা তারিখ পায়নি।
আমিরুলের মা বণিক বার্তাকে জানান, হৃদযন্ত্রে ছিদ্রের পাশাপাশি অন্যান্য জটিলতাও রয়েছে শিশুটির। চলতি বছরের শুরুর দিকে হাসপাতালে নিয়ে এলেও শিশুটিকে পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগে ভর্তি করানো যায়নি। প্রতিবারই তাকে টিকিট বা পরামর্শপত্রে সিল মেরে বলা হয়েছে দুই-আড়াই সপ্তাহ পর যোগাযোগ করতে। এভাবে এক টিকিটে ছয়টি সিল পড়ার পর শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো সম্ভব হয়েছে। তবে ভর্তির পর গত তিন সপ্তাহেও অস্ত্রোপচারের জন্য তারিখ পাওয়া যায়নি।
এনআইসিভিডির শিশু কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগ ও ওয়ার্ডে সরজমিনে গিয়ে অন্তত ১০ শিশুর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসব শিশুকে হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের জন্য ভর্তি করতে তাদের পরিবারকে অপেক্ষা করতে হয়েছে চার-পাঁচ মাস করে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা আরো বেশি।
হাসপাতালটিতে শিশু কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগে শয্যা সংখ্যা ৪৪। এর কোনোটিই সাধারণত খালি পাওয়া যায় না। এ বিভাগের অধীনে সর্বোচ্চ ১৫ বছর পর্যন্ত বয়সী হৃদরোগীদের অস্ত্রোপচার করা হয়। এখান থেকে প্রতি সপ্তাহে অস্ত্রোপচারের সুযোগ পাওয়া যায় সর্বোচ্চ পাঁচটি। বিভাগটির চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভর্তির বিপরীতে অস্ত্রোপচারের সুযোগ কম হওয়ায় এখানে রোগীর চাপ সবসময়ই বেশি। সর্বশেষ ভর্তি হওয়া শিশুটিরও অস্ত্রোপচারের তারিখ পেতে কমপক্ষে দেড় মাসের মতো সময় লেগে যায়। রোগীর জট বেশি থাকায় শিশুকে ভর্তি করার আগে তার পরিবারকে নিয়মিতভাবে চার মাস বা তার বেশি সময় ধরে হাসপাতালে যোগাযোগ রাখতে হয়।
এমনই এক রোগীর অভিভাবক চাঁদপুরের আতিউর জানালেন, গত সপ্তাহেই তার আড়াই বছর বয়সী ছেলেটির সার্জারি সম্পন্ন হয়েছে। এ সার্জারির তারিখ পেতে তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ছয় মাস।
এনআইসিভিডির তথ্য অনুযায়ী, হাসপাতালটিতে গত বছর শিশুদের কার্ডিয়াক সার্জারি হয়েছে সব মিলিয়ে ২৭৪টি। আর চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত এমন সার্জারি হয়েছে একশোরও কম। বিভাগটিতে বিশেষজ্ঞ সার্জন রয়েছেন মোটে চারজন। এখানে শিশুদের জন্য স্বতন্ত্র কোনো আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) নেই। প্রাপ্তবয়স্কদের সার্জারি বিভাগের আইসিইউতে বরাদ্দ পাঁচটি শয্যা দিয়ে কোনোমতে কাজ চালানো হচ্ছে। যদিও শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শিশুদের হৃদরোগের চিকিৎসার প্রক্রিয়াটি ভিন্ন। ফলে অস্ত্রোপচারের পর তাদের জন্য আলাদা আইসিইউ প্রয়োজন।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এনআইসিভিডির পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের এক চিকিৎসক বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আমাদের এখানে সীমাবদ্ধতা বেশি। ফলে অস্ত্রোপচার ও ভর্তির জন্য অপেক্ষার সময়ও বেশি। তবে খুব জরুরি সংকটাপন্ন শিশু রোগীকে আমরা যে অপেক্ষমাণ রাখি, তা নয়। আমরা অনেক অস্ত্রোপচার জরুরি ভিত্তিতে করি। আমাদের জন্য আলাদা ওটি (অস্ত্রোপচার কক্ষ) ও আইসিইউ প্রয়োজন। বিভাগ নামে হয়েছে, নেই কোনো সুবিধা। চিকিৎসক ও লোকবলেরও সংকট রয়েছে। এ নিয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।’
এনআইসিভিডিসহ সারা দেশে পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়াক সার্জনের সংকট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনআইসিভিডির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘শিশু সার্জারি কঠিন বিষয়। আমরা ভালো চিকিৎসক তৈরির চেষ্টা করছি। আগে দক্ষ চিকিৎসক তৈরি করতে হবে। আমরা শিশু কার্ডিয়াক সার্জন তৈরির জন্য এমএস ও এফসিপিএস চালুর চেষ্টা চালাচ্ছি। বর্তমানে শিশু কার্ডিয়াক সার্জারির জন্য আমাদের ইনস্টিটিউটে সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। আরো সেবা বাড়াতে হলে স্বতন্ত্র ওটি (অস্ত্রোপচার কক্ষ) প্রয়োজন। প্রয়োজন আলাদা অবকাঠামোও।’
পিসিএসবির তথ্য অনুযায়ী, সারা বিশ্বে প্রতি হাজার নবজাতকের মধ্যে ১০-১২ জনই হৃৎপিণ্ডে ত্রুটি নিয়ে জন্মায়। বাংলাদেশে এ সংখ্যা বেশি। এখানে হাজারে প্রায় ১৫টি শিশু জন্মগত হৃদরোগে ভুগছে। সে হিসেবে শিশু কার্ডিওলজিস্ট ও শিশু কার্ডিয়াক সার্জন প্রয়োজন পাঁচ শতাধিক। দেশে শিশু হৃদরোগীদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই মারা যায় চিকিৎসার অভাবে। তবে দেশে শিশু হৃদরোগী ও বিনা চিকিৎসায় মৃতদের পরিসংখ্যান সেভাবে পাওয়া যায় না।
এনআইসিভিডি ও বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি এ দুই প্রতিষ্ঠানে শিশু কার্ডিওলজি (মেডিসিন) বিভাগে শয্যা রয়েছে যথাক্রমে ৪০ ও ৫৬টি। এনআইসিভিডিতে শিশু কার্ডিওলজি (মেডিসিন) বিভাগের পিআইসিইউতে (পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) রয়েছে ১২টি শয্যা। বিএসএমএমইউতে এখন শিশু কার্ডিয়াক সার্জারির পরিসর বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। আগামী এক-দেড় বছরের মাথায় প্রতিষ্ঠানটিতে ৪০টি শয্যাসহ শিশু কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগ চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। একই সঙ্গে বিভাগটির স্বতন্ত্র আইসিইউ এবং ওটি চালু করা হবে।
পিসিএসবির সাধারণ সম্পাদক এবং এনআইসিভিডির শিশু কার্ডিওলজির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহ শাহরিয়ার বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ধারণাই ছিল না যে শিশুদেরও হৃদরোগ হতে পারে। তাদের হৃদযন্ত্রেও অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে এ ভাবনা এসেছে বহু পরে। ফলে এ চিকিৎসা এগোয়নি। একই সঙ্গে এ ধরনের কার্ডিয়াক সার্জারিতে ঝুঁকি বেশি। প্রাপ্তবয়স্কদের সার্জারিতে ঝুঁকি ৮-১০ শতাংশ হলেও শিশুদের অস্ত্রোপচারে ঝুঁকি ১২-১৫ শতাংশ। ফলে চিকিৎসকরা আগ্রহী হন না। অনেক ক্ষেত্রে রোগ জটিল পর্যায়ে না এলে অভিভাবকরা শিশুদের চিকিৎসার বিষয়ে ভাবেন না অথবা শনাক্ত হতে দেরি হয়। তারা অস্ত্রোপচারে রাজি হন দেরিতে। আবার দেখা যায় অর্ধেক অভিভাবকই এর খরচ বহন করতে পারেন না। সবচেয়ে বড় কথা সার্জনের অভাব তো রয়েছেই। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের জন্য কাউন্সেলিং করা হয় নেতিবাচকভাবে। ফলে অভিভাবকরা ভয় পান।’