উপজেলায় সেরা হাসপাতাল পাঁচবিবি ফুলবাড়ী ছাগলনাইয়া ও সোনারগাঁ

তিন স্তরের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে লোকবল ও প্রয়োজনীয় রোগ নিরীক্ষার সংকট সবচেয়ে বেশি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ফলে রোগ নিয়ন্ত্রণ ও রোগী ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে তৃণমূলে রয়েছে এর নেতিবাচক প্রভাব। যদিও উপজেলা পর্যায়ের সরকারি এসব হাসপাতালকে মনে করা হয় গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার প্রধান কেন্দ্র। ক্ষণে ক্ষণে এসব প্রতিষ্ঠানের উন্নতি করতে পদক্ষেপ হিসেবে শুধু শয্যা সংখ্যা বাড়িয়েছে সরকার। তবে সে অনুপাতে বাড়েনি চিকিৎসক, চিকিৎসা উপকরণ। এর মধ্যেও সেবা প্রদানে ভালো করেছে কোনো কোনো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের র্যাংকিংয়ে উপজেলা পর্যায়ে দেশসেরা হাসপাতালের তালিকায় স্থান পেয়েছে চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

এ চারটির একটি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। গত বছর চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়নসহ সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কারণে সারা দেশের উপজেলায় শীর্ষস্থান দখল করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এ হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ৫০। গড়ে দৈনিক ৩৫০ মানুষ বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে। রয়েছে সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা সুবিধা। সি-সেকশন, অর্থোপেডিকসহ বড় ধরনের অস্ত্রোপচার এখানে হয়। আর রোগীদের প্রায় ৯০ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে দেয়া হয় বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।

স্থানীয় বাসিন্দারা চিকিৎসার জন্য পরিপূর্ণভাবে এ হাসপাতালের ওপর ভরসা করছে বলে মন্তব্য করেন পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সোলায়মান হোসেন মেহেদী। তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, ‘উপজেলার বাসিন্দারা এ হাসপাতালে জটিল রোগ নিয়ে তেমন একটা আসে না। সাধারণ অসুস্থতার রোগীই বেশি আসে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৫ জন ডাক্তার ও ৩৬ জন নার্স কর্মরত।’

পাঁচবিবির মতো একই নম্বর পেয়েছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ৫০ শয্যার এ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সেবাপ্রত্যাশীরা সহজেই সেবা পাচ্ছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, ২৮ জন চিকিৎসকের বিপরীতে ১৯ জন রয়েছেন। আর গাইনি ও অ্যানেস্থেসিওলজি কনসালট্যান্ট বাদে কোনো কনসালট্যান্ট এখানে নেই। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. খুশরোজ আহমেদ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘হাসপাতালে দৈনিক গড়ে ৪০ জন রোগী ভর্তি হয়। আর বহির্বিভাগে ৪৫০ জন। সি-সেকশন হাইড্রোসিল ও হার্নিয়ার অস্ত্রোপচারসহ বিভিন্ন চিকিৎসা দেয়া হয়। সাপে কাটা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ রয়েছে এখানে।’

ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মশিউর রহমান জানান, এখানে প্রসবপূর্ব ও পরবর্তী সেবা, নিরাপদ প্রসব, নিয়মিত অস্ত্রোপচার, নির্ধারিত সময়ে রোগীদের রোগ নিরীক্ষার প্রতিবেদন প্রস্তুত, চিকিৎসকদের যথাসময়ে উপস্থিতি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার গুণগত মান বাড়িয়েছে। চলতি অর্থবছরে প্রায় ৩৫০ প্রসূতি অস্ত্রোপচার ছাড়াই সন্তান জন্ম দিয়েছেন।

স্বাস্থ্য সুবিধার পর্যাপ্ততা (ফ্যাসিলিটি স্কোরিং), অনসাইট মনিটরিং (অনলাইন পর্যবেক্ষণ), ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশনে (বস্তুগত যাচাই) ও পেশেন্ট স্যাটিসফেকশন (রোগী সন্তুষ্টি) নিয়ে নির্দিষ্ট নম্বরের স্কোরের ভিত্তিতে র্যাংকিং করা হয়। এক্ষেত্রে প্রধানত চিকিৎসা সরঞ্জাম ও যন্ত্রাংশের পর্যাপ্ততা, বহির্বিভাগ, রোগী ভর্তিসহ হাসপাতালের সার্বিক সেবা ও সুবিধা বিবেচনা করা হয়। এক্ষেত্রে অনলাইনের মাধ্যমে অনসাইট মনিটরিংয়ের কাজটি করেন জেলার সিভিল সার্জন। তাদের দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ‘ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন’ বা সরজমিন পরিদর্শন করা হয়। এক্ষেত্রে মূলত চিকিৎসা যন্ত্রাংশসহ বিভিন্ন সেবা যাচাই করা হয়। এরপর রোগীর সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করা হয়, তারা সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট কিনা। এক্ষেত্রে ফ্যাসিলিটি স্কোরে ৮০, অনসাইট মনিটরিংয়ে ২০, বস্তুগত যাচাইয়ে ১৫০ ও রোগী সন্তুষ্টি ৫০ মিলিয়ে মোট ৩০০ নম্বরের ভিত্তিতে সার্বিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ২০২২ সালে শুধু দুটি বিষয়ের (সুবিধার পর্যাপ্ততা বা ফ্যাসিলিটি স্কোরিং ও অনসাইট মনিটরিং) ভিত্তিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তালিকা নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

একই নম্বর পেয়ে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে চারটি উপজেলা হাসপাতাল। এগুলো হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী ও ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ক্রম অনুযায়ী)। এসব হাসপাতাল ১০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছে ৮১ দশমিক ২২। আর পঞ্চম অবস্থানে থাকা টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নম্বর ৮১ দশমিক ২১।

ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরজমিনে দেখা যায়, সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য রয়েছে হাইডিপেনডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ) থাকলেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরতে পরতে সংকট স্পষ্ট। দৈনিক অর্ধসহস্রাধিক রোগী এ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসছে। নিয়মিত সি-সেকশন, হার্নিয়া, অ্যাপেন্ডিক্স ও অর্থোপেডিকসের অস্ত্রোপচার হয়।

অন্যদিকে ৫০ শয্যার সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা, কুকুরে কমড়ানোর টিকা, ডেন্টাল ইউনিট, ডায়াবেটিস ও ডেঙ্গু কর্নার। বর্তমানে একজন গাইনি কনসালট্যান্টসহ ১০ জন চিকিৎসক কর্মরত।

পঞ্চম অবস্থানে থাকা টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২০১৮ সালে ১০০ শয্যায় উন্নীত হয়। উপজেলার প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষের ভরসা এ হাসপাতাল। অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্নার এরই মধ্যে সারা দেশে সবচেয়ে সুন্দর কর্নার হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বীকৃতি পেয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। তবে ৫০ শয্যার জনবল ও অন্যান্য বরাদ্দ দিয়েই ১০০ শয্যার কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে সর্বোচ্চভাবে। বহির্বিভাগে রয়েছে পুষ্টি কর্নার, ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার, প্রসবপূর্ব ও পরবর্তী সেবা, কিশোর-কিশোরী সেবা কেন্দ্র, ডেন্টাল ইউনিট, ফিজিওথেরাপি সেন্টার, টেলিমেডিসিন সেন্টার ও স্বাস্থ্যশিক্ষা কর্নার। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সাইদুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘হাসপাতালের চিকিৎসকসহ সবাই সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে আন্তরিক। ফলে দৈনিক ৬০০-৭০০ রোগী বহির্বিভাগে আসে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখা থেকে হাসপাতালের স্কোরিং করা হয় বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল বা সিভিল সার্জন যে তথ্য অনলাইনে দিচ্ছেন তা সরজমিনে যাচাই করা হয়। সে সময় আরো কিছু বিষয় তখন যুক্ত করা হয়। এগিয়ে থাকা ওইসব প্রতিষ্ঠানকে ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাতীয় পুরস্কার’ দেয়া হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (উপজেলা স্বাস্থ্যসেবা) ডা. মো. রিজওয়ানুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘নির্দিষ্ট নির্দেশনা ও শর্ত দেখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখা স্কোরিং করে। এর পরও সরজমিনে পরিদর্শন রয়েছে। অনেকগুলো ধাপ রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও শুধু প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয় না। এখানে কিউরেটিভ সেবাও দেয়া হয়। বেড়েছে সেবার পরিধি।’

গত ডিসেম্বরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রকাশিত সর্বশেষ বার্ষিক হেলথ বুলেটিন তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রশাসনিক উপজেলা ৪৯৫টি। এর মধ্যে ৪২৪টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। শুধু কোনো সদর উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেই। দেশে ১০০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে তিনটি, ৫০ শয্যার রয়েছে ৩৪৫টি, ৩১ শয্যার ৬৫ ও ১০ শয্যার রয়েছে ১১টি। এসব প্রতিষ্ঠানে মোট শয্যা সংখ্যা ১৯ হাজার ৬৭৫।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ স্বাস্থ্যসেবার জন্য জেলা ও উপজেলা হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল। এসব প্রতিষ্ঠানে সেবা দেয়ার সময় চিকিৎসকরা বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ বা সমস্যার মুখোমুখি হন, যা স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হয়ে দেখা দেয়।

গত জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) বাংলাদেশের জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে চিকিৎসকদের চ্যালেঞ্জ নিয়ে একটি গবেষণা প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, ৮৮ শতাংশ উপজেলা হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাফির সুবিধা নেই। ফলে জনসাধারণ এ রোগ নিরীক্ষার জন্য যাচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালে। একইভাবে দেশের ৫৯ শতাংশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের এক্স-রে করা হয় না। এক্স-রে যন্ত্র না থাকা অথবা নষ্ট হওয়ার কারণে সুবিধা পাচ্ছে না রোগীরা। ৪১ শতাংশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রক্ত পরিসঞ্চালন ও ৭৩ শতাংশে ইসিজির সুবিধা নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সবচেয়ে বেশি সংকট লোকবলের। সারা দেশে এসব হাসপাতালে ৬৩ শতাংশ আবাসিক মেডিকেল অফিসার নেই। একইভাবে সিনিয়র ও জুনিয়র কনসালট্যান্টের মোট পদের ৭৭ শতাংশই খালি। মেডিকেল অফিসার বা সহকারী সার্জন, নার্সিং স্টাফ, মিডওয়াইফ, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, টেকনিশিয়ান, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও নিরাপত্তাকর্মীর পদও খালি রয়েছে।

হাসপাতালগুলোর র্যাংকিং নিয়ে বণিক বার্তার সঙ্গে কথা বলেছেন দেশের প্রখ্যাত চারজন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। তাদের মতে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যে শর্তগুলোর ওপর ভিত্তি করে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত, জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের র্যাংকিং করছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এখানে বেশকিছু বিষয় উপেক্ষিত। সরকারি হাসপাতালে মানুষ সেবা নিয়ে কেন সন্তুষ্ট হতে পারছে না তা পর্যালোচনা জরুরি। সেবাপ্রত্যাশীরা সেবার জন্য এসে সঠিক তথ্য পাচ্ছে কিনা, রোগ নিরীক্ষার সুবিধা কেমন এসব দেখতে হবে। বিনামূল্যে রোগীকে প্রয়োজনীয় সব ওষুধ দেয়ার কথা বলা হলেও বাস্তবে এমন হয় না। সব হাসপাতালেই রোগী কমবেশি হয়রানির শিকার হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্টরা ভালো ব্যবহার করেন না। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় পরীক্ষার সুবিধা নেই। মানুষ এখানে সেবা নিতে আসে ঠিকই, কিন্তু চিকিৎসা শেষ করতে পারে না। এজন্য তাদের বেসরকারি হাসপাতালের ওপর নির্ভর করতে হয়। সুবিধার অভাবে এমন হয়।

বিভিন্ন সময় যেসব উপজেলা হাসপাতাল তালিকার শীর্ষে এসেছে তাতে প্রাতিষ্ঠানিক কোনো বিষয় কাজ করেছে কিনা তা দেখার প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘যেসব হাসপাতাল প্রথম সারিতে এসেছে তা নিতান্তই ওই প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক বা জনপ্রতিনিধি কিংবা স্থানীয়দের প্রচেষ্টায়। এখানে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বা নিয়ন্ত্রক সংস্থার কোনো কার্যক্রম ছিল না। ফলে দেখা যায়, ওই চিকিৎসক বদলি হয়ে গেলে বা জনপ্রতিনিধির মেয়াদ শেষ হলে সেসব হাসপাতাল আর ভালো করতে পারছে না। যে বিষয়গুলো সামনে রেখে রেটিং করা হচ্ছে তা আরো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা জরুরি। সেবার ওপর ভিত্তি করে রেটিং না হলে বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ থেকে যাবে। সব উপজেলা হাসপাতালে সমান সেবা পাওয়া যায় না। প্রশাসনিক এলাকাভিত্তিক যেমন—উপজেলায় প্রাথমিক, জেলায় মাধ্যমিক ও মেডিকেল কলেজ টারশিয়ারি পর্যায়ের সেবা দেয়, এ ধারণা থেকে সরে আসতে হবে। প্রশাসনিক বা আঞ্চলিক ভিত্তিতে সেবা ভাগ করা যায় না। মেডিকেল কলেজ যেমন প্রাথমিক সেবা দেয়, তেমনি প্রাথমিক সেবা ছাড়াও বেশি সেবা দেয় উপজেলা হাসপাতাল।’

(প্রতিবেদনটি তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন দিনাজপুর, জয়পুরহাট, নারায়ণগঞ্জ, ফেনী ও টাঙ্গাইল প্রতিনিধি)

Source: Bonik Barta

Share the Post: