নোয়াখালীর হাতিয়ায় কয়েক বছর আগে খেলতে গিয়ে পুকুরে পড়ে যায় তিন বছরের শিশু জায়েদ। সংকটাপন্ন অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয় জায়েদের স্বজনরা। চিকিৎসকের ওপর চড়াও হয়ে মারধর করে তারা। রোগীর মৃত্যুতে বা চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে চিকিৎসককে মারধর ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর চালানোর ঘটনা দেশে নতুন নয়। গত মাসেও খুলনার শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান শেখ নিশাত আবদুল্লাহর ওপর কর্মরত অবস্থায় হামলার ঘটনা ঘটে। নগরীর একটি নার্সিং হোমে অস্ত্রোপচার চলাকালে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। এরপর ঘটনার বিচারের দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন খুলনার চিকিৎসকরা। একটি সহিংসতার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসকসমাজের নেয়া এ অবস্থানের ফলে চিকিৎসাবঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ রোগীরা।
কেবল এ দুটি ঘটনাই নয়, চিকিৎসায় অবহেলা, সরঞ্জামের অপর্যাপ্ততা ও রোগীর স্বজনদের সঙ্গে অসদাচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে প্রায়ই কর্মক্ষেত্রে লাঞ্ছনার শিকার হতে হয় চিকিৎসকদের। বাগিবতণ্ডা কখনো কখনো সহিংস হামলায় রূপ নেয়। কেবল বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের অন্য দেশগুলোতেও এমন দৃশ্যের দেখা মেলে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের মাধ্যমিক ও টারশিয়ারি (বিশেষায়িত) স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের চেয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চিকিৎসকরা কর্মক্ষেত্রে বেশি সহিংসতার শিকার হন। এর পেছনে মূল যে কারণটি চিহ্নিত করা হয়েছে সেটি হলো রোগীর চাহিদা ও প্রত্যাশা পূরণের জন্য এসব প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত লোকবল ও অন্যান্য সুবিধা নেই। ফলে চিকিৎসা নিতে গিয়ে যথাযথ সেবা না পেয়ে সহিংস হয়ে ওঠে রোগীর স্বজনরা। যার শিকার হতে হয় জরুরি বিভাগ ও শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এসব সহিংস ঘটনা রাতে ঘটে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রতিষ্ঠানে সহিংসতা নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর সমস্যা। এসব দেশে রোগীর অনুপাতে চিকিৎসক ও নার্স কম থাকে, যে কারণে রোগীরা অনেক সময় কাঙ্ক্ষিত সেবা পায় না। ফলে তারা ক্ষিপ্ত হয়। রোগী ও স্বজনদের ক্ষুব্ধ হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে চিকিৎসকের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সময় না পাওয়া, চিকিৎসায় অবহেলা, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা উপকরণ না থাকা, দীর্ঘসময় অপেক্ষা করা, বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের অতিবাণিজ্যিক আচরণ, সংকটাপন্ন রোগীর চিকিৎসার জন্য সময়মতো চিকিৎসক ও সেবা না পাওয়া ইত্যাদি। এমনিতেও অসুস্থ রোগী নিয়ে দৌড়ঝাঁপ, স্বজনের মৃত্যু, তথ্যের অপ্রাপ্তিসহ নানা কারণে স্বজনরা উদ্বিগ্ন থাকে। সে সময় হাসপাতাল ও সংশ্লিষ্টদের অসহযোগিতা, কখনো কখনো অসদাচরণ, চিকিৎসায় ধীরগতি ইত্যাদি ঘটনার মুখোমুখি হলে স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে, যা তাদের সহিংস হতে প্ররোচিত করে। আমাদের দেশে স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে সেবাপ্রত্যাশীদের যথাযথ ধারণা ও জানাশোনা নেই। এটি থাকলে সহিংসতার ঘটনা ঘটত না।
মাঠ পর্যায়ে সহিংসতার ঘটনা মোকাবেলা করে আসা কয়েকজন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছে বণিক বার্তা। তাদের জবানিতেও উঠে এসেছে নানা সংকটের কথা। এদেরই একজন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কর্মরত ডা. রাশেদ আহমেদ। এক বছরেরও বেশি সময় তিনি রাজশাহীর বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন। সে সময়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে এ চিকিৎসক বলেন, ‘রোগীর স্বজনরা আশা করে, সংকটাপন্ন রোগী হাসপাতালে নেয়ার পর পরই ভালো হয়ে যাবে। তারা রোগীর অবস্থা, হাসপাতালের সুবিধা ও লোকবলের সীমাবাদ্ধতার কথা বিবেচনা করে না। রোগীর স্বজনরা ভাবে, ডাক্তারের কাজই হলো রোগীকে সুস্থ করে তোলা। দেখা যেত, সাপে কাটা রোগী প্রথম কয়েক ঘণ্টা ওঝার কাছে গিয়ে সময় নষ্ট করে তারপর হাসপাতালে আসছে। এসেই ভাবছে চিকিৎসক তাকে সুস্থ করে দেবেন। কিন্তু ততক্ষণে বিষ হয়তো অনেক ছড়িয়ে গেছে। বিষধর সাপের কামড় হলে রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ হয়। অনেক সময় অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ করলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়। এতে রোগীর সঙ্গে আসা লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে সহিংসতা ঘটায়। এরপর রোগীর মৃত্যু হলে বলা হয় ভুল ওষুধে মারা গেছে।’
সরকারের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের এক চিকিৎসক বলেন, ‘একবার এক মুমূর্ষু রোগীকে আমার কাছে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু আমাদের যেসব সরঞ্জাম আছে তাতে ওই রোগীকে সারিয়ে তোলা সম্ভব না। তাই রোগীর স্বজনদের জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু রোগীর আত্মীয়দের কোনোভাবেই বোঝানো সম্ভব হয়নি। নিরুপায় হয়ে আমি ওই মুহূর্তে রোগীকে একটি ইনজেকশন দিই এবং দ্রুত তাকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলি। কিন্তু ইনজেকশনের পর রোগীর অবস্থা কিছুটা ভালো হওয়ায় স্বজনরা রোগীকে জেলা পর্যায়ে নেয়নি। কিছুক্ষণ পরই রোগীর মৃত্যু হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় রোগীর স্বজনরা আমাদের হাসপাতালে ভাংচুর চালায়, কয়েকজন স্টাফ আহত হয়।’
সম্প্রতি ‘ওয়ার্কপ্লেস ভায়োলেন্স এগেইনস্ট ডক্টরস ইন বাংলাদেশ: আ কনটেন্ট অ্যানালাইসিস’ শীর্ষক গবেষণায় উঠে আসে, বাংলাদেশে সহিংসতার শিকার ৪৮ শতাংশ চিকিৎসক জরুরি বিভাগে কর্মরত ছিলেন। গবেষণাটি প্রকাশ হয়েছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বৈজ্ঞানিক জার্নাল ফ্রন্টিয়ার্সে। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন চিলড্রেনস হসপিটাল অ্যান্ড হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের আট গবেষক এ গবেষণায় অংশ নিয়েছেন।
গবেষণায় দেখা যায়, সহিংসতার শিকার হওয়ার ক্ষেত্রে জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসকদের পরই রয়েছেন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা। নবীন এ চিকিৎসকদের ৪০ শতাংশই কর্মক্ষেত্রে সহিংসতার শিকার হয়েছেন। একইভাবে মেডিকেল অফিসারদের ২৯ শতাংশ, আবাসিক চিকিৎসকদের (আরএমও) ২৮ ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের ৯ শতাংশ সহিংসতার শিকার হন। এছাড়া কর্মক্ষেত্রে সহযোগী ও সহকারী অধ্যাপকদের ৬ শতাংশ, দাঁতের চিকিৎসকদের ৪, অনারারি মেডিকেল অফিসারদের ৫, জুনিয়র কনসালট্যান্টদের ৪ ও অধ্যাপক বা সিনিয়র কনসালট্যান্টদের ৪ শতাংশ সহিংসতার শিকার হয়েছেন।
চিকিৎসকরা সাধারণত আলাদা পালায় (রোস্টার ডিউটি) দায়িত্ব পালন করেন। দেখা যায়, রাতের পালায় দায়িত্ব পালনকারীরা সবচেয়ে বেশি সহিংসতার শিকার হন। গবেষণায় দেখা গেছে, সহিংসতার শিকার চিকিৎসকদের ৬১ শতাংশ রাতে, ১৩ শতাংশ সকালে ও ২৭ শতাংশ সন্ধ্যায় দায়িত্ব পালন করেছেন। এসব সহিংসতায় কেবল মারধর নয়, ধারালো অস্ত্রের মুখোমুখিও হতে হয় চিকিৎসকদের। ৩০ শতাংশ চিকিৎসক ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন। মারধরের শিকার হয়েছেন ২১ শতাংশ। এছাড়া গুলিতে আহত হওয়ার ঘটনাও আছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে নিবন্ধিত চিকিৎসক রয়েছেন প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার। দেশের জনসংখ্যার অনুপাতে চিকিৎসকের এ সংখ্যা অপ্রতুল। সব মানুষকে যথাযথ সেবা দিতে এর তিন গুণ চিকিৎসক প্রয়োজন। কেবল চিকিৎসকেরই যে সংকট তা নয়। স্বাস্থ্য খাতে নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্টসহ অন্য সব ধরনের লোকবলেরই সংকট রয়েছে।
সহিংসতার জন্য সামাজিক প্রেক্ষাপটকে দায়ী করলেন বিএমডিসির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. লিয়াকত হোসেন। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে হাসপাতালে সহিংসতার ঘটনা নিয়মিত ঘটছে। চিকিৎসক কী চিকিৎসা দিচ্ছেন তা রোগীর স্বজনরা বুঝতে না পারায় অনেক ক্ষেত্রে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। জরুরি বিভাগ বা রাতে হাসপাতালে যেসব রোগী আসে তারা প্রায় সংকটাপন্ন অবস্থায় থাকে। ওই সময় রোগীর সঙ্গে থাকা লোকজন বিচলিত হয়ে পড়ে। আর রাতে যেসব চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করছেন তাদেরও বহু রোগীকে সামলাতে হয়। এখানে কোনো এক পক্ষ দোষী তা বলা যাবে না। এখানে কিছু বোঝাপড়ার ভুল রয়েছে। চিকিৎসকের দায়িত্ব যেমন সর্বোচ্চ সেবা দেয়া তেমনি রোগীর স্বজনদের দায়িত্ব বিষয়টি চিকিৎসকের ওপর ছেড়ে দেয়া।’
সর্বোচ্চ চেষ্টার পরও রোগী যখন মারা যায় তখন রোগীর লোকজন চিকিৎসকের দোষ দিয়ে ভাংচুর করেন উল্লেখ করে এ চিকিৎসক বলেন, ‘উপজেলা বা জেলায় প্রায়ই রোগী শেষ পর্যায়ে আসে। তখন রোগীর হূদযন্ত্র সচল করতে সিপিআর দেয়ার পর ডিফিব্রিলেটর দিয়ে শক দেয়া হয়। রোগীর স্বজনরা অনেক সময় অভিযোগ করে, রোগীকে চিকিৎসক বুকে চাপ দিয়ে মেরে ফেলেছেন। এর পুরোটাই হয় জানাবোঝার সংকটের কারণে।’
চিকিৎসকের আচরণগত কিছু বিষয়েও ধীরস্থির হওয়ার পরামর্শ দেন ডা. মো. লিয়াকত হোসেন। তিনি বলেন, ‘রোগী ও স্বজনদের ধৈর্য ধরে বোঝাতে হবে। আগেই রোগীর অবস্থা ব্রিফিং করে পদক্ষেপ নিলে সহিংসতার শঙ্কা কমে যাবে।’
গবেষণা বলছে, সহিংসতার মধ্যে পড়া চিকিৎসকের ৫৫ শতাংশই প্রাথমিক পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। এছাড়া মাধ্যমিক পর্যায়ে ১৮ ও টারশিয়ারি (বিশেষায়িত) স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের ২৭ শতাংশ চিকিৎসক হামলা ও লাঞ্ছনার শিকার। এসব হামলা ও লাঞ্ছনার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণের কথা উঠে এসেছে। এর মধ্যে চিকিৎসায় বিলম্বের অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। ২৭ শতাংশ সহিংসতার ঘটনাই বিলম্বিত চিকিৎসার কারণ থেকে ঘটেছে। এছাড়া রোগীদের বোঝাপড়ার কারণে ১২ শতাংশ, ক্ষমতা প্রদর্শনে ২৬, রোগীর মৃত্যু ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ১৮, গুরুতর সহিংসতার কারণে ৫ ও স্বাস্থ্যসেবা নেয়ার ক্ষেত্রে রোগীদের আচরণ ১২ শতাংশ দায়ী।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘হাসপাতালের জরুরি বিভাগ হলো খুবই ব্যস্ত জায়গা। একই সঙ্গে আমাদের চিকিৎসকেরও স্বল্পতা রয়েছে। শিক্ষানবিশ চিকিৎসক হয়তো রোগী দেখছেন, এ সময় অন্য একজন এসে ক্ষমতা দেখাতে চান। চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করেন। রোগীরা চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ দিলে তা আমলেও নেয়া হয়। অনেক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেয়া হয়। স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করে তা সংসদে পাস করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এতে চিকিৎসক ও রোগী উভয়ই উপকৃত হবেন।’
মূলত বোঝাপড়ার অভাবে সহিংসতা হচ্ছে উল্লেখ করে এ চিকিৎসক নেতা বলেন, ‘এটা হওয়ার কথা নয়। সহিংসতা এড়াতে আমরা আলোচনা করছি। আগের চেয়ে হাসপাতাল ও চিকিৎসক প্রতি বছরই বাড়ছে।’
বিএমএর সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই মাহবুব বণিক বার্তাকে বলেন, ‘সহিংসতা হলে সেটার পেছনে কোনো না কোনো কারণ থাকবে। সে কারণগুলো বন্ধ করার দায়িত্ব সরকার ও চিকিৎসকের। ব্যক্তিগতভাবে কে এখানে কী করছে সেটি নিয়ে কথা বলা নিরর্থক। তাই যে কারণে হয় সেগুলো নিয়ে সরকার আলোচনা করে সমাধান বের করাই যুক্তিযুক্ত।’