চিকিৎসাসেবায় একজন রোগীর সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করেন নার্স। রোগীর ব্যথার মাত্রা নির্ণয় ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তাদের জ্ঞান অপরিহার্য। ক্যান্সার রোগীদের ব্যথা উপশমের জন্য এসব বিষয় আরো জরুরি। তবে দেশের ৬৫ শতাংশ নার্সেরই ক্যান্সারের ব্যথা ব্যবস্থাপনার বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই। ব্যথা ব্যবস্থাপনার ওপর নার্সদের জ্ঞান কম থাকায় ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের সার্বিক চিকিৎসা ব্যবস্থা ব্যাহত হয়। একই সঙ্গে ক্যান্সারের ব্যথা ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে ৮৮ শতাংশ নার্সের। এসব তথ্য উঠে এসেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়।
‘নলেজ অ্যান্ড অ্যাটিচুড টুওয়ার্ডস ক্যান্সার পেইন ম্যানেজমেন্ট অ্যামং নার্সেস ইন সিলেকটেড টারশিয়ারি লেভেল হসপিটালস ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের গবেষণাটি সম্প্রতি প্রকাশ করেছে ইনস্টিটিউট অব প্যালিয়েটিভ কেয়ার বাংলাদেশের (আইপিসিবি) প্যালিয়েটিভ কেয়ার জার্নাল। গবেষণাটি করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের আট গবেষক। একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও দুটি বিশেষায়িত হাসপাতালের আড়াই শতাধিক নার্সের ওপর গবেষণাটি চালানো হয়। এসব নার্স ন্যূনতম ছয় মাস ক্যান্সার বিভাগে সেবা প্রদান করেছেন।
গবেষণায় বলা হয়, ৬৫ শতাংশ নার্সের মধ্যে ক্যান্সারের ব্যথা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে জ্ঞানের পর্যাপ্ততা পাওয়া যায়নি। আর ক্যান্সার আক্রান্তদের ব্যথা ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাব ছিল ৮৮ শতাংশ নার্সের। ব্যথা ব্যবস্থাপনার পর্যাপ্ত জ্ঞান ছিল মাত্র ৩৫ শতাংশের ও ইতিবাচক মনোভাব ছিল ১২ শতাংশ নার্সের।
সঠিকভাবে ব্যথা উপশম না হওয়ার পেছনে বেশকিছু কারণ রয়েছে উল্লেখ করে গবেষণায় বলা হয়, ব্যথা ও ব্যথা ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাবের অভাব, ব্যথানাশক ওষুধ সম্পর্কে ভুল ধারণা ও কুসংস্কার, ব্যথার পরিমাপক স্কেল সম্পর্কে না জানা এবং ব্যবস্থাপনায় অপারদর্শিতা ও প্রশিক্ষণের ঘাটতি। ব্যথা ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণই পাচ্ছেন না ৬৪ শতাংশ নার্স। যদিও ৬০ শতাংশের বেশি নার্স নার্সিংয়ের ওপর ডিপ্লোমা করেছেন এবং এক-চতুর্থাংশ নার্সিংয়ে বিএসসি নার্সিং বা ব্যাচেলর অব সায়েন্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন। মাস্টার্স ও তার ওপরে ডিগ্রিধারী নার্সের মধ্যে অন্যদের তুলনায় বেশি নেতিবাচক মনোভাব দেখা গেছে। সাধারণত কম ক্লিনিক্যাল অনুশীলন ও রোগীকে কম সময় দিতে পারার কারণে এমনটি হতে পারে।
গবেষকরা বলছেন, এর আগে ক্যান্সারের ব্যথা ব্যবস্থাপনায় নার্সদের জ্ঞান ও মনোভাব যাচাইয়ের কোনো গবেষণা হয়নি। ফলে ক্যান্সার ব্যথা ব্যবস্থাপনায় নার্সদের জ্ঞান ও মনোভাব কেমন সে সম্পর্কে ধারণা নেই। ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের জীবনের গুণগত মান বাড়াতে এবং ব্যথা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নার্সিং সেবার দক্ষতা বাড়ানো জরুরি। ব্যথানাশক ওষুধের কার্যক্ষমতা, প্রয়োগবিধি, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, সহনশীলতা ও ওষুধের নির্ভরতার বিষয়ে নার্সদের জ্ঞান সীমিত। যদিও একজন নার্সকে অবশ্যই ব্যথার মাত্রা নির্ণয় ও ব্যথা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে দক্ষ হতে হবে। তা না হলে ব্যথা ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
গবেষকদের অন্যতম ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালিয়েটিভ মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোস্তফা কামাল চৌধুরী বণিক বার্তাকে বলেন, ‘প্রধান কারণ বলতে গেলে এটা প্রশিক্ষণের অভাব। ক্যান্সার পেইন ম্যানেজমেন্ট ঠিকমতো হয় না। কারণ আমাদের দেশে যারা হেলথ প্রফেশনালস আছেন তাদের পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই। মেডিকেল কারিকুলামে এসব নিয়ে আলোচনা কম থাকে আবার প্রশিক্ষণও হয় না। ২০১৪ সালে আমরা একটি গবেষণায় পেয়েছি, দেশে প্রায় ৯০ শতাংশ ডাক্তার-নার্সের ক্যান্সার পেইন ম্যানেজমেন্টের জ্ঞান নেই। প্যালিয়েটিভ কেয়ার দেশের পরিপ্রেক্ষিতে একেবারেই নতুন পর্যায়ে। এটা সবার জানার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। অনেক রোগের ক্ষেত্রেই পেইন ম্যানেজমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ। প্যালিয়েটিভ কেয়ারে আমরা যারা কাজ করছি তাদের ক্ষেত্রে ক্যান্সারের পেইন ম্যানেজমেন্টটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যারা ক্যান্সারে আক্রান্ত তাদের বড় অংশই এ পেইনে ভুগছেন। প্রায় ৮০ শতাংশ ক্যান্সারের রোগী বিভিন্ন ধরনের ব্যথায় ভুগছেন। দেশে নার্সের সংখ্যা কম এটা তো সাধারণ সমস্যা, সংখ্যা বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে ক্যান্সার রোগীদের নিয়ে যেসব নার্স কাজ করছেন তাদের পেইন ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে জানতে হবে।’
তার মতে, নার্সরা রোগীদের কাছে ডাক্তারের চেয়ে বেশি সময় থাকেন। এজন্য নার্সকে ব্যথা ব্যবস্থাপনায় অভিজ্ঞ হতে হবে। দেশে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্যালিয়েটিভ কেয়ারের যাত্রা হয় ২০০৭ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে। ধীরে ধীরে প্যালিয়েটিভ কেয়ার উন্নত হচ্ছে। সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
প্যালিয়েটিভ কেয়ার বা উপশমকারী যত্নের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, এটি এমন এক পদ্ধতি যা রোগীদের ও তাদের পরিবার রোগের কারণে যে সমস্যার সম্মুখীন হয়, তার থেকে জীবনমানের উন্নয়ন করা। শারীরিক, মনঃসামাজিক বা আধ্যাত্মিকভাবে ব্যথা ও অন্যান্য সমস্যা প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করে সঠিক মূল্যায়নে চিকিৎসার মাধ্যমে কষ্ট প্রতিরোধ ও উপশম করা হয়। যন্ত্রণা মোকাবেলায় শারীরিক লক্ষণগুলোর বাইরের সমস্যাগুলোরও যত্ন নেয়ার বিষয় জড়িত। বিভিন্ন রোগের জন্য উপশমকারী যত্ন প্রয়োজন হয়। দীর্ঘমেয়াদি রোগ যেমন হূদরোগ (৩৯ শতাংশ), ক্যান্সার (৩৪ শতাংশ), দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগ (১০ শতাংশ), এইডস (৬ শতাংশ) ও ডায়াবেটিস (৫ শতাংশ), কিডনি ব্যর্থতা, দীর্ঘস্থায়ী যকৃতের রোগ, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস, পারকিনসন্স ডিজিজ, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, স্নায়বিক রোগ, ডিমেনশিয়া, জন্মগত অসংগতি ও ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মাসহ অন্যান্য অনেক অবস্থার জন্য উপশমকারী যত্নের প্রয়োজন হতে পারে। বিশ্বে বছরে সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষের বেশির ভাগের ক্ষেত্রে প্যালিয়োটিভ কেয়ারের প্রয়োজন হয়। তবে মাত্র ১৪ শতাংশ এ যত্নের আওতায় আসতে পারে।
বাংলাদেশে ঠিক কতসংখ্যক ক্যান্সারের রোগী রয়েছে তার হিসাব নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বছরে সারা দেশে কতজন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে ও মারা যাচ্ছে এমন কোনো হিসাবও সরকারের কাছে নেই। তবে গ্লোবাল ক্যান্সার ইনসিডেন্স, মর্টালিটি অ্যান্ড প্রিভিলেন্স (গ্লোবোক্যান) পরিসংখ্যানের আলোকে ডব্লিউএইচওর অধীন ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (আইএআরসি) সর্বশেষ হিসাবে জানিয়েছে, বাংলাদেশে গত পাঁচ বছরে শনাক্তকৃত রোগীর মধ্যে এখনো ক্যান্সারে আক্রান্ত ২ লাখ ৭১ হাজারের কাছাকাছি। এর মধ্যে ২০২০ সালে শনাক্ত হয়েছিল ১ লাখ ৫৬ হাজার ৭৭৫ জন। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৯ হাজার ক্যান্সার রোগীর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে বছরে অন্তত তিন-চার লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। মারা যাচ্ছে দেড় লাখ। এ হিসাব কোথাও তালিকাভুক্ত হচ্ছে না। প্রাক্কলিত রোগীর সংখ্যার চেয়ে কয়েক গুণ ক্যান্সার রোগী বছরে রোগ শনাক্তের বাইরে থেকে যায়। দেশে বিশেষায়িত পর্যায়ের (টারশিয়ারি) সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ক্যান্সারের চিকিৎসার সুবিধা অপর্যাপ্ত।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) ও আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি বলছে, ক্যান্সারের চিকিৎসার অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যখন ঘটে তখন সুস্থ কোষগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রত্যেক রোগীর জন্য যেমন চিকিৎসা ও ওষুধ এক নয়, তেমনি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ারও ভিন্নতা রয়েছে। এ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রোধে অভিজ্ঞ ও দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী থাকা প্রয়োজন, যারা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়ে নজর রাখবেন। নতুন কোনো সমস্যা দেখা দিলে সে অনুযায়ী চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা পরিচালিত হবে।
গবেষণা বলছে, দেশে ক্যান্সারে আক্রান্ত প্রায় ৭০ শতাংশ রোগী মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথার অভিযোগ করে। ব্যথা একজন রোগীর শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে এবং সঠিক ব্যবস্থাপনা করা না গেলে রোগীর জীবনযাত্রার মান কমে যায়।
ক্যান্সারের ব্যথা দীর্ঘমেয়াদি, যা উপশমের জন্য ভালো ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন উল্লেখ করে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য তথ্যের চ্যানেল ‘বেটার হেলথ চ্যানেল’ বলছে, ব্যথা ব্যবস্থাপনা ভালোভাবে করা হলে রোগীর জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়। ক্যান্সারের ব্যথা ব্যবস্থাপনার ভিত্তি হলো নিয়মিত ওষুধ। তবে রোগীপ্রতি ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেন কম হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হয়। রেডিওথেরাপি, সার্জারি, হরমোন থেরাপি ও কেমোথেরাপির মাধ্যমে ক্যান্সারের চিকিৎসা করা হয়। তবে ব্যথা উপশমের জন্য সঠিক ব্যবস্থাপনা জরুরি।
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ক্যান্সার রোগতত্ত্ব বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ব্যথা ক্যান্সার রোগীদের একটি সাধারণ সমস্যা। শরীরের কিছু অংশে ক্যান্সার হলে ব্যথা বেশি হয়, আবার কিছু কিছু অংশে ক্যান্সার হলে তা ছড়িয়ে পড়ে। হাড়ের মধ্যে কোনো কারণে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়লে তা খুবই ব্যথাদায়ক হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ক্যান্সারের চিকিৎসা শুরু করার আগে ব্যথা প্রশমনের চিকিৎসা দিতে হয়। প্যালিয়েটিভ কেয়ার ভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি। এর একটি অংশ হচ্ছে ব্যথা ব্যবস্থাপনা। আমাদের দেশে বিষয়টি এককালে খুব একটা পরিচিত ছিল না। নানা কারণে ব্যথা ব্যবস্থাপনায় নার্সদের অভিজ্ঞতা কম।’
জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, স্বাস্থ্যসেবা একটি দলগত প্রচেষ্টা। এ দলের প্রধান চিকিৎসক আর নার্স দ্বিতীয় ব্যক্তি। এখানে চিকিৎসকরা রোগের ধরন ও কী চিকিৎসা লাগবে সেটা নির্ধারণ করেন। আর নার্সরা সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করেন।
নার্সদের প্রশিক্ষণের ঘাটতি ছাড়াও লোকবলের সংকট রয়েছে বলে জানা যায়। নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ নাসির্ং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ৮৭ হাজার নিবন্ধিত নার্স রয়েছেন। তার মধ্যে ৪৫ হাজারের কিছু বেশি সরকারি। বাকিরা দেশে-বিদেশে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। দেশে তিন লাখের বেশি নার্সের প্রয়োজন থাকলেও তা নেই। প্রতি চিকিৎসকের বিপরীতে তিনজন নার্স থাকার কথা থাকলেও রয়েছে শূন্য দশমিক ৩০ জন।
বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রাশিদা আক্তার বণিক বার্তাকে বলেন, ‘প্রশিক্ষণের ঘাটতি বলা যাবে না। প্যালিয়েটিভ কেয়ার খুবই ভিন্ন ধারার একটি প্রশমনসেবা। আমরা নতুন একটি পাঠ্যক্রম চালু করেছি। ডিপ্লোমার পরে এক বছরের বিশেষায়িত কোর্সের প্রশিক্ষণ। যেসব প্রতিষ্ঠান নার্স নিয়োগ দিচ্ছে সেসব প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব তাদের যথাযথ প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলা।’