মৌলিক স্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে দেশের স্বাস্থ্যনীতিতে। এতে বেসরকারি খাত ও এনজিওগুলোর ভূমিকা রাখা হয়েছে সম্পূরক হিসেবে। এজন্য দেশব্যাপী স্বাস্থ্য অবকাঠামোও গড়ে তোলা হয়েছে। তবে অপর্যাপ্ত সুবিধা ও সেবার অপ্রতুলতার কারণে বেসরকারি খাতের ওপরই আস্থা রাখছেন সেবাগ্রহীতারা। বর্তমানে স্বাস্থ্যসেবার ৭০ শতাংশের বেশি সরবরাহ করছে ব্যক্তি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো। যদিও বাড়তি অর্থ ব্যয়ে এ সেবা নিতে হচ্ছে মানুষকে। ফলে সরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতার ঘাটতি কভিড মোকাবেলায় নাজেহাল পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, অব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনার অভাবে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোর কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। অবকাঠামো থাকলেও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোয় চিকিৎসকের সংকট যেমন রয়েছে, তেমনি অনুপস্থিত থাকছেন নিয়োগপ্রাপ্তদের অনেকেই। বিশেষ করে দুর্গম এলাকাগুলোয় চিকিৎসকের অনুপস্থিতি রোগীর বড় ধরনের দুর্ভোগের কারণ। আবার চিকিৎসক থাকলেও সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসা উপকরণ ও যন্ত্রাংশ। ফলে অবকাঠামো থাকলেও সরকারি স্বাস্থ্যসেবার সক্ষমতার কার্যকারিতা নেই রোগীর চিকিৎসায়।
অন্যদিকে অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে ব্যক্তি খাতের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চিকিৎসা নিতে পারে না জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশ। বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের স্বাস্থ্যসেবার কাঠামোগত এ দুর্বলতা সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান হয়েছে চলমান কভিড-১৯ মহামারীতে। নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের অভিঘাত মোকাবেলায় নাজেহাল হতে হচ্ছে রোগী, চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কভিড মোকাবেলা করতে গোটা বিশ্বেই নেতৃত্ব দিচ্ছে সরকারি খাত। ব্যতিক্রম ঘটছে না বাংলাদেশেও। কিন্তু শুধু ভবন অবকাঠামো দিয়ে মহামারী মোকাবেলা করা যাচ্ছে না। আবার বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবার উচ্চব্যয় সব শ্রেণী-পেশার মানুষের পক্ষে নির্বাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। জাতীয় স্বাস্থ্যসেবার এ কাঠামোগত দুর্বলতাই মহামারী মোকাবেলাকে দুরূহ করে তুলছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে কোনো আশার সঞ্চারও করা যাচ্ছে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক বলেন, বেসরকারি হাসপাতালে একজন রোগী প্রবেশ করার পর পানি, বিদ্যুৎ, বেড চার্জ থেকে শুরু করে সব ধরনের খরচ যোগ হয়ে চিকিৎসা ব্যয় হয় ন্যূনতম ২ লাখ টাকা। এ ব্যয় রোগীর অবস্থা ও রোগভেদে ১০ লাখ টাকাও ছাড়িয়ে যেতে পারে। বেসরকারি কেন্দ্রগুলোর উদ্দেশ্য যেহেতু ব্যবসা, সেই মনোবৃত্তি চিকিৎসার পরতে পরতে দৃশ্যমান হয়। বিশ্বের সব দেশেই স্বাস্থ্যসেবায় এখন আধিপত্য বেসরকারি খাতের। কিন্তু তাদের স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থাপনা অনেক উন্নত।
সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো ক্রয় কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত উল্লেখ করে মোজাহেরুল হক আরো বলেন, এখনো অনেক ভবন গড়ে উঠছে যা বেশ দর্শনীয়। কিন্তু সেগুলো নির্মাণের মান নিয়ে প্রশ্ন আছে। অনেক যন্ত্র ও উপকরণ কেনা হয়, কিন্তু তার যথার্থতা ও কার্যকারিতা নিয়ে কেউ ভাবে না। অর্থাৎ দুর্নীতি হয়। আবার জনবল যেমন অপ্রতুল তেমনি জনবল যা আছে তার মান নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। এ সবকিছুই কাঠামোগত দুর্বলতার প্রতিফলন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ২০২০ সালে প্রকাশিত জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সর্বশেষ বাংলাদেশ হেলথ ফ্যাসিলিটি সার্ভে বলছে, বাংলাদেশ মোট জিডিপির ৩ শতাংশ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় অর্থায়ন করে, যা সমকক্ষ উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে কম। এর মধ্যে মাত্র ১ শতাংশ অর্থায়ন সরকারি খাত থেকে আসে। বাকি অর্থায়ন আসে বেসরকারি ও উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে। ফলে বেসরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা দেশের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তবে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা নেয়ার ক্ষেত্রে মানুষের বাড়তি খরচ হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব উন্নয়ন নির্দেশিকা। এতে নাগরিকরা চিকিৎসা ব্যয়ের ৭৪ শতাংশ বাড়তি খরচ করছে, যা এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। ভারতে চিকিৎসার জন্য বাড়তি খরচ হয় ৬২ শতাংশ, নেপালে ৫৮, পাকিস্তানে ৬০, শ্রীলংকায় ৫০, থাইল্যান্ডে ১১, মালয়েশিয়ায় ৩৮ ও ভিয়েতনামে ৪৫ শতাংশ।
খানা জরিপ ২০১৬-এর তথ্য বলছে, ৪৬ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বেসরকারি খাতে পরিচালিত হচ্ছে। সাধারণত সেকেন্ডারি ও টারশিয়ারি পর্যায়ের চিকিৎসাসেবায় বেসরকারি ব্যবস্থাপনার আধিপত্য রয়েছে। বাংলাদেশীরা সরকারি প্রতিষ্ঠানে যত অর্থ ব্যয় করে তার পাঁচ গুণ ব্যয় করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। এতে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবার প্রবৃদ্ধি দিন দিন বাড়ছে।
প্রতি বছর দেশে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ছে। নব্বইয়ের দশকে সারা দেশে বেসরকারি হাসপাতাল গড়ে উঠেছিল ৩৮৪টি। সরকারের এক হিসাব বলছে, ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত দেশে ব্যক্তিমালিকানার স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে ১৬ হাজার ৯৭৯টি। এর মধ্যে রোগ নির্ণয় কেন্দ্র ১০ হাজার ২৯১টি, হাসপাতাল ৪ হাজার ৪৫২টি ও মেডিকেল ক্লিনিক ১ হাজার ৩৯৭টি। এছাড়া দেশে বর্তমানে ৮৩৯টি বেসরকারি ডেন্টাল ক্লিনিকও রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে স্বাস্থ্যসেবা প্রায় পুরোটাই সেরকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে চলে গেছে, যা ভালো লক্ষণ প্রকাশ করে না। মূলত আশির দশকের পর থেকে দেশের বড় শিল্প গ্রুপগুলো স্বাস্থ্যসেবায় বিনিয়োগ করতে শুরু করেছে। করোনা মহামারী শুরুর পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে এসেছে। তবে সম্পদের স্বল্পতা ও সেবার মান বাড়ায় করোনা মোকাবেলায় নাজেহাল অবস্থা সরকারের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বাস্থ্যসেবা বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বণিক বার্তাকে বলেন, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসার মান নিয়ে মোটাদাগে প্রশ্ন রয়েছে। সেবা দেয়ার চেয়ে ব্যবসাই মুখ্য হয়েছে। খরচ বেশি হলেও মানুষ সরকারিতে যাচ্ছে কম। কারণ সরকারিতে তারা হয়রানির শিকার হয়।
সরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবাবঞ্চিত হয়েই মানুষ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যায় বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আব্দুল হামিদ। তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, ‘খরচ বেশি হলেও অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হওয়ার কারণে মানুষ খরচ হলেও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা নেয়। সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে হয়রানি বন্ধ না হলে মানুষ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যাবে। স্বাস্থ্যসেবার প্রতি সরকারের মনোযোগ নেই। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টি সরকারিভাবে উপেক্ষিত থেকে গেছে। বার্ষিক বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রেও এর প্রতিফলন দেখা গেছে। দিন দিন মানুষ বেড়েছে, কিন্তু সরকারি স্বাস্থ্যসেবার পরিধি বাড়েনি। একই সঙ্গে পরিকল্পনার ঘাটতি রয়েছে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ হেলথ বুলেটিন ২০১৯ বলছে, দেশে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সেকেন্ডারি ও টারশিয়ারি পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালের সংখ্যা ৬৫৪। এসব হাসপাতালে মোট শয্যা সংখ্যা ৫৩ হাজার ৪৪৮। প্রতি ১০ হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে ১ দশমিক ৫৫ জন চিকিৎসক রয়েছেন। তবে প্রতি ১০ হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে চিকিৎসক রয়েছেন ৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ। আর প্রতি ১০ হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে সরকারি হাসপাতালে ৩ দশমিক ৩০টি শয্যা থাকলেও বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছে ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ। ২০১৮ সালে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বা কমিউনিটি বেজড হেলথকেয়ারের বাইরে সেকেন্ডারি ও টারশিয়ারি পর্যায়ে ছয় কোটি মানুষকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দিয়েছে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান। আর ভর্তি হয়েছিল ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৮৩৩ জন। জরুরি চিকিৎসা নিয়েছে ২৫ লাখ ৮ হাজার ব্যক্তি।
সরকারের তথ্য বলছে, দেশে সরকারি ও বেসরকারি ১৩১টি হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকার বাইরে সরকারি হাসপাতালের সংখ্যা বেশি। ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরের বাইরের হাসপাতালগুলোয় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র, হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা এবং অন্যান্য জরুরি পরিষেবার ঘাটতি রয়েছে। কভিড ডেডিকেটেড ৫২টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউর ব্যবস্থা নেই। দেশের অর্ধেকের মতো জেলায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ সুবিধা নেই।
তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি করোনা হাসপাতালে ১৬ হাজার ৩৬টি সাধারণ শয্যা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে গতকালও ৭০ শতাংশ শয্যায় রোগী ভর্তি ছিল। আর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ১ হাজার ৩১৪টি, যার ৮৩ শতাংশ শয্যায় সংকটাপন্ন রোগী ভর্তি ছিল। করোনা রোগীদের চিকিৎসায় বর্তমানে রাজধানীতে সংকট শুরু হয়েছে। কাগজ-কলমে ২০ শতাংশের মতো সাধারণ ও আইসিইউ শয্যা খালি থাকার কথা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, আইসিইউ শয্যা পেতে রোগীদের নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ঘুরছে স্বজনরা। বেসরকারি হাসপাতালেও সংকট শুরু হয়েছে।
এদিকে বর্তমানে রাজধানীতে করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর ৭০ শতাংশই ঢাকার বাইরে থেকে এসেছে। জেলা পর্যায়ে জরুরি চিকিৎসাস্বল্পতার কারণে বাধ্য হয়েই তাদের ঢাকায় আনা হচ্ছে। শুরু থেকেই তৃণমূল পর্যায়ের বিভিন্ন স্তরে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারলে সংকটাপন্ন রোগীদের নিয়ে এমন ছুটতে হতো না বলে মন্তব্য করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্যবিষয়ক পারমর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. আবু জামিল ফয়সাল বণিক বার্তাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত থেকে গেছে। ন্যূনতম পরিকল্পনা থাকলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। দেখা যাচ্ছে ভবন আছে, প্রয়োজনীয় সেবা নেই। আবার প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ রয়েছে তবে লোকবল নেই। আবার সব থাকলেও মানুষ সেবা পাচ্ছে না। পুরোপুরি সময়ন্বয় নেই। মহামারী শুরু হওয়ার পর দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সরকারি সংস্থাগুলো জরুরি চিকিৎসার পরিপূর্ণতা নিশ্চিত করতে পারেননি।’
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ড. রশীদ-ই-মাহবুব বলেন, সরকারি খাতে আমাদের অবকাঠামো দুর্বলতা কম। ভবন আছে কিন্তু যন্ত্র নেই। আবার যন্ত্র থাকলেও তার ব্যবহার নেই। অর্থাৎ সক্ষমতা যা আছে তার পূর্ণ সদ্ব্যবহার হচ্ছে না। সমস্যাটা হচ্ছে পরিকল্পনা। যুগোপযোগী পরিকল্পনা করতে পারলে এত সমস্যা হতো না। উপজেলা পর্যায়ে অবকাঠামো পড়ে আছে, চিকিৎসক, নার্সের মতো জনবলও হয়তো দেয়া আছে, কিন্তু কোনো কিছুরই কার্যকারিতা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। এটা করতে হলে একটা সমন্বিত প্রয়াস ও তদারকি দরকার। এ বিষয়গুলোয় মারাত্মক ঘাটতি আছে।
বেসরকারি খাত কোনো নিয়মনীতির মধ্যে নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ পরিস্থিতি তদারকিরও কেউ নেই। ফলে অতি মুনাফা ও দুর্বৃত্তায়ন বেসরকারি খাতকে গ্রাস করেছে। কভিডে এগুলো বেশি প্রকাশ পেয়েছে। কারণ কভিড হলো জরুরি সেবার রোগ। জরুরি সেবা দেশের বিদ্যমান স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় সম্ভব হচ্ছে না। সরকারের এখন একটা কমিশন প্রয়োজন স্বাস্থ্য খাতকে সংস্কারের জন্য।