জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল: হৃদজটিলতা নির্ণয়ের বিশেষ সুবিধা নেই দেশের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রটিতে

ক্যান্সার একটি দীর্ঘমেয়াদি অসংক্রামক রোগ। এর সর্বোচ্চ চিকিৎসায় প্রয়োজন বহুমুখী বা মাল্টিডিসিপ্লিনারি দল (এমডিটি)। সেই সঙ্গে চিকিৎসা কেন্দ্রে জরুরি বিভিন্ন ধরনের রোগ নির্ণয়ের ব্যবস্থা। কেননা ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে গিয়ে দেহের অন্য অংশেও জটিলতা দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা দেয় হৃৎপিণ্ডের জটিলতা। যদিও দেশে ক্যান্সারের সর্বোচ্চ চিকিৎসা কেন্দ্র জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে (এনআইসিআরএইচ) নেই এ রোগ নির্ণয় ও ব্যবস্থাপনার বিশেষ সুবিধা। এমনকি ন্যূনতম ইকোকার্ডিওগ্রাফির ব্যবস্থাও নেই বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানটিতে। ফলে হৃদজটিলতা দেখা দিলে রোগীদের পাঠাতে হয় অন্য হাসপাতালে।

পাকস্থলীর ক্যান্সার আক্রান্ত পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব ভাইয়ের চিকিৎসা করাতে এনআইসিআরএইচে এসেছেন জামালপুরের আসাদ। গত রোববার হাসপাতালের মূল ভবনের তৃতীয় তলায় তার সঙ্গে এ প্রতিবেদক কথা বলেন। আসাদ জানান, আট মাস আগে তার ভাইয়ের ক্যান্সার শনাক্ত হয়। শুরুতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য কয়েক দফায় আসতে হয়েছে জাতীয় ক্যান্সার হাসপাতালে। ৪ ফেব্রুয়ারি আবারো এসেছেন। তবে শয্যা পাননি বলে ওই এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়েছেন।

ক্যান্সার আক্রান্ত ভাইয়ের বর্তমান অবস্থা জানিয়ে আসাদ বণিক বার্তাকে জানান, এখন কেমোথেরাপি চলছে। কার্ডিয়াক ও রক্তের কয়েকটি পরীক্ষা হাসপাতালটিতে হয়নি। যেতে হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালে। এর মধ্যে ইকোকার্ডিওগ্রাফি, ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং (এমআরআই), কম্পিউটারাইজড টমোগ্রাফি স্ক্যান (সিটি স্ক্যান) উল্লেখযোগ্য। চিকিৎসা বাবদ ব্যয় হয়েছে ৮ লাখ টাকা। তবে রোগ নির্ণয়ের সব সুবিধা ও ওষুধ ক্যান্সার হাসপাতালে পাওয়া গেলে অন্তত ২ লাখ টাকা কম ব্যয় হতো বলে তার অনুমান।

শুধু আসাদই নন, বিশেষায়িত হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আসা ক্যান্সার রোগীর বেশ কয়েকজন স্বজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য পরিপূর্ণ রোগ নিরীক্ষার ব্যবস্থা এনআইসিআরএইচে নেই। ফলে রোগীকে নিয়ে ছুটতে হয় পার্শ্ববর্তী কোনো বেসরকারি বা সরকারি হাসপাতালে। এতে যেমন খরচ বাড়ে, তেমনি হয়রানিরও শিকার হতে হয়। বিশেষ করে কেমোথেরাপি, অস্ত্রোপচার, রেডিওথেরাপির জন্য রোগীর হৃদযন্ত্র প্রস্তুত কিনা তা জানার সুযোগ হাসপাতালটিতে নেই। শুধু ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রামের (ইসিজি) ব্যবস্থা রয়েছে।

ক্যান্সারের চিকিৎসা একটি বহুমুখী চিকিৎসা উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ অব মেডিসিন বলছে, ক্যান্সারের ধরন, রোগীর অবস্থা, রোগের পর্যায়ের ওপর চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ভর করে। প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের সমন্বয়ে নির্বাচন করা হয় চিকিৎসা পদ্ধতি। এ বিষয়টিকে বলা হয় বহুপদ্ধতি চিকিৎসা। রোগীদের অস্ত্রোপচার, কেমোথেরাপি, বিকিরণ থেরাপি দেয়ার ক্ষেত্রে এমডিটি প্রয়োজন হয়।

এনআইসিআরএইচকে ক্যান্সারের রোগী ব্যবস্থাপনায় ‘বহুবিভাগীয়’ সর্বোচ্চ পর্যায়ের চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ওয়েবসাইটে। বলা হয়েছে, রোগীর ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা ও গবেষণায় প্রশিক্ষিত পেশাদারদের মাধ্যমে চিকিৎসা কেন্দ্রটি পরিচালিত। অথচ প্রতিষ্ঠার তিন দশকের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও ক্যান্সার রোগীদের হৃদজটিলতার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনাই গড়ে তুলতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

ইনস্টিটিউটটিতে দীর্ঘদিন ধরে অধ্যাপনা করেছেন এমন অন্তত দুজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ নেই এনআইসিআরএইচে। এমনকি হৃদরোগের জন্য সাধারণ পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগও মেলে না। ইসিজি থাকলেও নেই ইকোকার্ডিওগ্রাফি বা ইকো। তাই এ পরীক্ষার জন্য রোগীকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে (এনআইসিভিডি) পাঠাতে হয়।

ক্যান্সার রোগীদের মধ্যে হৃদজটিলতা থাকা খুবই স্বাভাবিক বলে জানান চিকিৎসকরা। তাই একজন কার্ডিওলজিস্টকে মাঝেমধ্যে সংযুক্ত করে এনআইসিআরএইচে আনা হয়। তবে ব্যবস্থাপনার অভাবে তিনি পরিপূর্ণ সেবা দিতে পারেন না। অস্ত্রোপচার বা কেমোথেরাপি দেয়ার সময় কোনো রোগীর হৃদজটিলতা দেখা দিলে তাকে দ্রুত এনআইসিভিডিতে পাঠাতে হয়।

হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালটি ৫০০ শয্যার প্রশাসনিক অনুমোদন থাকলেও মূলত জনবল রয়েছে ৩০০ শয্যার। ওই অর্গানোগ্রাম বা পদ কাঠামোয় ১ হাজার ১৮৭ জনের অনুমোদন রয়েছে। এর মধ্যে ২৪০ চিকিৎসকের বিপরীতে আছেন ১৯৩ জন। নার্সের ছয়শ পদের বিপরীতে ৫৬৭ জন কর্মরত রয়েছেন। সংকট রয়েছে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর। ৫৪ মেডিকেল টেকনোলজিস্টের বিপরীতে ৪৫ জন কর্মরত আছেন। এর মধ্যে ২০টি রেডিওথেরাপির টেকনোলজিস্টের মধ্যে নয়টি পদ শূন্য। বর্তমানে ২৪ বিভাগ রয়েছে হাসপাতালটিতে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, পাঁচশ শয্যার জনবল চেয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এতে মোট ১ হাজার ৬৬৪টি পদের অর্গানোগ্রাম প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৪৭টি চিকিৎসকের পদ। প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রামে কার্ডিওলজি বিভাগ, চক্ষু, কিডনি, জেনারেল মেডিসিন ও নিউরোসার্জারি বিভাগ রাখা হয়েছে। এতে নিউরোসার্জারি বিভাগে আটটি আর বাকি বিভাগগুলোয় চারটি করে চিকিৎসকের পদ।

এনআইসিআরএইচের উপপরিচালক ডা. কাজী আইনুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে কার্ডিওলজি বিভাগ নেই। পদ তৈরির প্রস্তাব মন্ত্রণালয়কে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে একজন কার্ডিওলজিস্ট এ হাসপাতালে সংযুক্ত রয়েছেন। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও জরুরি প্রয়োজনে রোগীকে পাঠাতে হয় এনআইসিভিডি বা অন্য কোনো হাসপাতালে।’

জার্নাল অব দি আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজি বলছে, থেরাপি ক্যান্সার নিরাময় করলেও দীর্ঘমেয়াদি রোগের ভোগান্তির দিকে ধাবিত করে। কেননা ক্যান্সার রোগীদের বেশির ভাগেরই হৃদরোগ থাকে। তাই বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে চিকিৎসা কেন্দ্রে কার্ডিওভাসকুলার জটিলতা নির্ণয়, প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে প্রস্তুতি থাকা জরুরি।

বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ক্যান্সার রোগী যে বয়সেরই হোক না কেন চিকিৎসার জন্য হৃদযন্ত্রের অবস্থা দেখতে হবে। এর জন্য ইসিজি, ইকোর মাধ্যমে পরীক্ষা করতে হবে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন। যেসব রোগীর হৃদযন্ত্র সহ্য করতে পারবে না, তাদের কেমোথেরাপির ক্ষেত্রে কিছু কিছু ওষুধ নিষিদ্ধ। অস্ত্রোপচার ও রেডিওথেরাপির জন্য কার্ডিয়াক বিশ্লেষণ অতিগুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসার পর ফলোআপেও কার্ডিয়াক পরীক্ষা-নিরীক্ষা লাগবে। তবে দেশের ইনস্টিটিউট হাসপাতালগুলোয় প্রয়োজনীয় সমন্বিত চিকিৎসার অভাব রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একাডেমিক চিকিৎসা কেন্দ্র ও কমিউনিটি হসপিটাল নেটওয়ার্ক ইউনিভার্সিটি হসপিটালস ক্যান্সার রোগীদের হৃদযন্ত্রের সুস্থতার বিষয়টি অত্যাবশ্যকীয় উল্লেখ করেছে। তারা বলছে, ক্যান্সারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশন কিছু কার্ডিয়াক ঝুঁকি বহন করে। বুকে রেডিয়েশন থেরাপি হার্ট অ্যাটাক ও হার্টের ভালভের কার্যকারিতা বৃদ্ধির ঝুঁকির সঙ্গে যুক্ত। একইভাবে নির্দিষ্ট ধরনের কেমোথেরাপি হৃৎপিণ্ডের পেশি দুর্বল, হার্ট ফেইলিউর ও মৃত্যুর কারণ হতে পারে। দুর্ভাগ্যবশত বেশির ভাগ জটিলতা ক্যান্সারের চিকিৎসার সময় ঘটে। কিছু ক্ষেত্রে ক্যান্সার নিরাময়ের কয়েক মাস বা কয়েক বছর সমস্যা হতে পারে। প্রকৃতপক্ষে নিরাময়ের ১০ বছর পর স্তন ক্যান্সারে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের ক্যান্সারের চেয়ে হৃদরোগে মারা যাওয়ার আশঙ্কা বেশি। একটি সুস্থ হৃদয় ছাড়া চিকিৎসা সীমিত হয়ে যায়। কার্ডিওঅনকোলজিস্টরা ক্যান্সার থেরাপির কার্ডিওভাসকুলার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞান রাখেন।

হেলথ সিস্টেমস স্ট্রেনদেনিংয়েও (স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ—এইচএসএস) পিছিয়ে রয়েছে জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর হাসপাতালটিতে ১ লাখ ২৩ হাজার রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে। জরুরি বিভাগে এসেছিল সাড়ে ১০ হাজার, আর ভর্তি হয়েছিল ১৬ হাজার রোগী। বছরটিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪৯০ রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ক্যান্সার রোগতত্ত্ব বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার এখন গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক ক্যান্সার হাসপাতালের প্রকল্প সমন্বয়কারী। ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘সার্জারি-কেমোথেরাপির জন্য রোগীর হার্টের অবস্থা পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। বিশেষ করে কেমোথেরাপির সময় এটা জরুরি। কিছু ওষুধ তাদের দেয়া যায় না, এটিকে কার্ডিওটক্সিসিটি বলে। এক্ষেত্রে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের মতামত নিতে হবে, কোন ওষুধ দিলে হৃদজটিলতা দেখা দেবে না। সেই সঙ্গে ইনস্টিটিউটে ইসিজি, ইকো প্রয়োজন। অন্তত এক-তৃতীয়াংশ রোগীর ক্ষেত্রে কার্ডিয়াক পর্যবেক্ষণ লাগবেই।’

চলতি সপ্তাহে জাতীয় ক্যান্সার হাসপাতাল ঘুরে বেশকিছু অব্যবস্থাপনা চোখে পড়ে। বিভাগগুলোর সামনে ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিদের দেখা মেলে। গত রোববার মেডিকেল অনকোলজিসহ অন্তত ১০টি বিভাগের সামনে গিয়ে দেখা যায়, অপেক্ষারত ব্যক্তিদের মধ্যে কেবল অর্ধেক রোগী ও তাদের স্বজন। বাকিরা ওই সব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, যারা রোগীদের অন্য কোথাও নিয়ে যেতে কিংবা নিজেদের প্রতিষ্ঠানের ওষুধ কিনতে প্রলুব্ধ করছেন। চিকিৎসকের কক্ষ থেকে কোনো রোগী বের হলে তাকে ঘিরে ধরছেন পাঁচ-দশজন প্রতিনিধি। তারাই যেন ব্যবস্থাপত্র বুঝিয়ে দেয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন। রোগ নিরাময়ের আশায় রোগীর স্বজনরাও তাদের পিছু নিচ্ছেন। বিষয়গুলো এখানকার নিয়মিত চিত্র বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘দেশে এক ছাতার নিচে চিকিৎসার সব সুবিধা অপ্রতুল। ক্যান্সারের রোগীর সব রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার ব্যবস্থাপনা একই হাসপাতালে নেই। জাতীয় ক্যান্সার হাসপাতালে রোগী প্রচুর। সে অনুযায়ী ওই হাসপাতালের সক্ষমতা কম।’

ক্যান্সারের চিকিৎসা দেয়ার ক্ষেত্রে হৃদরোগ, কিডনি, স্নায়বিক চিকিৎসাসহ সাধারণ মেডিসিনের চিকিৎসা প্রয়োজন জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘সরকার আটটি বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন করে কার্ডিয়াক, কিডনি ও ক্যান্সারের ইউনিট করছে। কোনো রোগীর নির্দিষ্ট চিকিৎসার ক্ষেত্রে অন্য কোনো চিকিৎসকের মতামতের প্রয়োজন হলে তা যেন দেয়া যায়। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোয় অবশ্য সব সুবিধা রয়েছে। ক্যান্সার হাসপাতালটিকে আরো উন্নত করতে সরকারের পদক্ষেপ রয়েছে।’

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবার মধ্যে যে কয়টি রোগ এখনো প্রায় ব্যবস্থাপনার বাইরে রয়ে গেছে তার মধ্যে ক্যান্সার অন্যতম। তবে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে রোগী ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান মুখ্য হলেও তার সঠিক হিসাব নেই সরকার বা বেসরকারি কোনো সংস্থার কাছে। দেশে ক্যান্সার চিকিৎসার প্রসার আশানুরূপ হয়নি।

সরকারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর রোগে ভুগে মৃত্যুবরণকারীদের ৬৭ শতাংশই অসংক্রামক রোগে ভোগে। যেসব রোগের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ক্যান্সার।

সার্বিক বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোয় যেসব সমস্যা রয়েছে তা আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি। ক্যান্সারের বিষয়ে আমাদের অগ্রাধিকার রয়েছে। ওই হাসপাতালটিকে আরো আধুনিকায়নের চেষ্টা চলছে।’

Source: Bonik Barta

Share the Post: