ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে হাসপাতাল পার্শ্ববর্তী দীর্ঘ সময়ের বাসিন্দারা

তিন দশকে দেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হাসপাতাল, রোগ নির্ণয় কেন্দ্রের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তবে এ সময়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোয় বিকিরণ (রেডিয়েশন) ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে গড়ে ওঠেনি। এতে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান পার্শ্ববর্তী এলাকায় দীর্ঘ সময়ে বসবাসকারীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে। ক্যান্সার, হৃদরোগ, প্রজনন স্বাস্থ্যের ক্ষতি, সংক্রামক রোগের বিস্তারসহ বিভিন্ন ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। এ বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণের বাইরেই থেকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা।

তারা বলছেন, রোগ নির্ণয়ে বিকিরণের ব্যবহার চিকিৎসাবিজ্ঞানের বড় আবিষ্কার। তবে ব্যবহৃত তেজস্ক্রিয় ও বিকিরণ সৃষ্টিকারী চিকিৎসা সরঞ্জামের সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো দৈনিক বিপুল পরিমাণ চিকিৎসা বর্জ্য তৈরি করছে। এগুলো হলো প্লাস্টিক, ওষুধ, ধারালো সরঞ্জাম, রাসায়নিক, তেজস্ক্রিয়, সংক্রামক ও সাধারণ বর্জ্য। এসব বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাড়ছে। কিছু রোগ দ্রুত সৃষ্টি হচ্ছে আবার কিছু রোগ তৈরি হয় দীর্ঘদিন পর।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যানুযায়ী, স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে সৃষ্ট মোট বর্জ্যের ১৫ শতাংশের বেশি সংক্রামক, বিষাক্ত বা তেজস্ক্রিয়। প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ১ হাজার ৬০০ কোটি ইনজেকশন মানবদেহে প্রয়োগ করা হলেও সব সুচ ও সিরিঞ্জ সঠিকভাবে ধ্বংস করা হয় না। কিছু কিছু চিকিৎসা বর্জ্য পুড়িয়ে ফেললে আবার ডাইঅক্সিন ও পদার্থ কণা নির্গমন হয়। এসব বর্জ্যের নিরাপদ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা না গেলে স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত ঝুঁকি বাড়তে পারে বলে মনে করছে সংস্থাটি।

দেশের হাসপাতালে বিকিরণের মাধ্যমে চিকিৎসা ও রোগ নির্ণয়কারী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আজীবনের ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে বলে সম্প্রতি এক গবেষণায় তথ্য উঠে এসেছে। বিকিরণ মানবদেহের জীবন্ত কোষকে প্রভাবিত করে এবং জেনেটিক উপাদান (ডিএনএ) ও প্রজনন কোষের ক্ষতি করে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বৈজ্ঞানিক জার্নাল হিলিয়ন চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ওই গবেষণাপত্র প্রকাশ করে। ‘অ্যাসেসমেন্ট অব রেডিয়েশন লেভেল অ্যান্ড পোটেনশিয়াল রিস্ক টু পাবলিক লিভিং অ্যারাউন্ড মেজর হসপিটালস ইন সেন্ট্রাল অ্যান্ড ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ’ শিরোনামের গবেষণায় সরকারি-বেসরকারি ১০টি হাসপাতাল থেকে সৃষ্ট বিকিরণের তথ্য নেয়া হয়েছে। এগুলো হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও রাজধানীর শীর্ষ তিন বেসরকারি হাসপাতাল।

গবেষণায় বলা হয়, ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অন রেডিওলজিক্যাল প্রটেকশনের (আইসিআরপি) প্রস্তাবিত ঝুঁকির সহনশীল মাত্রা দশমিক শূন্য ৫৭ মাইক্রোসিভার্ট (বিকিরণ ও তেজস্ক্রিয় পরিমাপক)। আর বায়োলজিক্যাল ইফেক্ট অন আয়নাইজিং রেডিয়েশনের (বিইআইআর) প্রস্তাবিত ঝুঁকির সহনশীল মাত্রা দশমিক শূন্য ৬৪ মাইক্রোসিভার্ট। তবে দেশের হাসপাতালগুলো থেকে উৎপন্ন বিকিরণের পরিমাণ এর কয়েক গুণ বেশি। গবেষণা চলাকালে হাসপাতালগুলোয় বিকিরণের ডোজ হারের মাত্রা ছিল দশমিক শূন্য ১২ থেকে দশমিক ৩৫৫ মাইক্রোসিভার্ট। বার্ষিক ডোজ পরিসীমা দশমিক শূন্য ২১ মিলিসিভার্টস (শরীরে শোষিত বিকিরণের ডোজের প্রতিনিধিত্ব করে) থেকে দশমিক ৬২২ মিলিসিভার্টস। তবে গবেষণা চলাকালে বাংলাদেশের উল্লেখিত ১০ হাসপাতালের বিকিরণের ডোজ হার নাইজেরিয়া, ভারত ও সুইজারল্যান্ডের তুলনায় বেশি ছিল।

মূলত স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের বিকিরণ সুরক্ষা ও এ সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান না থাকা, আধুনিক বিকিরণ উৎপাদন সরঞ্জামের অভাব এবং রোগীর অত্যধিক চাপের কারণে এ স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়। এছাড়া বড় হাসপাতালের পাশে যেখানে সেখানে বেসরকারি রোগ নির্ণয় কেন্দ্র গড়ে ওঠা, যোগ্য পদার্থবিজ্ঞানীর অনুপস্থিতিতে বিকিরণ উৎপাদনকারী সরঞ্জামের গুণ-মান নিয়ন্ত্রণে অপর্যাপ্ততার বিষয়গুগুলোও গবেষণায় উঠে এসেছে।

বিকিরণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে ওষুধ, শিল্প ও কৃষি গবেষণায় আয়নাইজিং রেডিয়েশন ব্যবহার করা হয়। চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত আয়নাইজিং বিকিরণের কারণে বিকিরণ কর্মী ও জনসাধারণ ঝুঁকিতে রয়েছে। যদিও হাসপাতালের রেডিয়েশন কর্মীদের নিয়মিতভাবে থার্মোলুমিনেসেন্ট ডসিমিটার (টিএলডি) দিয়ে বিকিরণ পর্যবেক্ষণ করা হয়। তবে হাসপাতাল এলাকায় বসবাসকারী স্থানীয়দের রেডিওলজিক্যাল ঝুঁকি অনুমান করার জন্য কোনো বিস্তৃত গবেষণা নেই। রোগ নির্ণয় পদ্ধতিগুলোর মধ্যে এক্স-রে ও সিটি স্ক্যানের জন্য ঝুঁকি তৈরি হয় বেশি। দেশে মফস্বল ও গ্রামাঞ্চলে যেসব বেসরকারি ক্লিনিক ও রোগ নির্ণয় কেন্দ্র গড়ে উঠেছে সেখানেও সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাব রয়েছে।

বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক বণিক বার্তাকে বলেন, ‘দেশে রেডিও টেকনোলজিস্টের অভাব রয়েছে। রেডিওথেরাপি, এক্স-রে ও সিটি স্ক্যানের টেকনোলজিস্টের অভাব কিছুটা পূরণ হচ্ছে। দক্ষ লোকবলের অভাব এবং যেসব লোকবল ছিলেন তারা অবসরে গেলেও নতুন লোকবল তৈরি হচ্ছে না। বেশির ভাগ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও রোগ নির্ণয় কেন্দ্রের অবকাঠামো ঠিক নেই। ফলে বিকিরণ নিয়ন্ত্রণের প্রস্তুতি থাকছে না। পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নিয়মিত পরিদর্শনে চিকিৎসক, টেকনোলজিস্ট যারা কাজ করছেন তারা ঝুঁকিতে কিনা সেটি দেখার কথা। ঝুঁকি মোকাবেলায় কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বা নির্দিষ্ট সময় পরপর রেডিয়েশনের মাত্রা কর্তৃপক্ষকে পাঠানোর কথা। রেডিয়েশনের বিষয়গুলো আমাদের আলোচনায় থাকছে না।’

গবেষণার তথ্যে বলা হয়েছে, মোট বিকিরণ ডোজের ৩৪ শতাংশই তৈরি করছে সিটি স্ক্যান। আয়নাইজিং বিকিরণ মানুষের স্বাস্থ্যে তাৎক্ষণিক কোনো প্রভাব না ফেললেও পরবর্তী সময়ে ক্যান্সার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। বিকিরণের মধ্যে গামা বিকিরণ সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক, যা সম্পূর্ণরূপে মানুষের শরীরের মধ্য দিয়ে যেতে পারে। এতে ক্যান্সার, ডিএনএ ক্ষতি, কার্ডিওভাসকুলার রোগ, জিন মিউটেশনের মতো দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড মেডিসিন স্কুল বলছে, মেডিকেল ইমেজিং থেকে বিকিরণের তীব্রতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞ উচ্চতর বিকিরণ ডোজ পরীক্ষা, এক্স-রে, সিটি ও নিউক্লিয়ার ইমেজিং ব্যবহার নিয়ে উদ্বিগ্ন। সিটি স্ক্যানিং ও নিউক্লিয়ার ইমেজিং রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। তবে অনেক আক্রমণাত্মক ও সম্ভাব্য ঝুঁকি তৈরি করছে। এক্স-রে, সিটি স্ক্যান ও নিউক্লিয়ার ইমেজিংয়ের বিকিরণ হচ্ছে আয়নাইজিং বিকিরণ (উচ্চশক্তি তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বা কণা, যা টিস্যু ভেদ করে শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ ও গঠন প্রকাশ করে)। আয়নাইজিং রেডিয়েশন ডিএনএকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ডিএনএ পরিবর্তন ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।

দেশের সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রতিদিন কয়েকশ টন চিকিৎসা বর্জ্য তৈরি হচ্ছে, যার বেশির ভাগই গুরুতর স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত ঝুঁকি বহন করে। সুচ, সিরিঞ্জ, ব্যান্ডেজ সম্ভাব্য সংক্রমণ, রোগ ও স্বাস্থ্যের ঝুঁকি তৈরি করছে। পরিবেশদূষণেরও কারণ এসব বর্জ্য।

সারা দেশে হাসপাতালের একটি শয্যার বিপরীতে দিনে গড়ে এক থেকে আড়াই কেজি বর্জ্য তৈরি হচ্ছে বলে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বৈজ্ঞানিক জার্নাল এলসিভিয়ার চলতি বছর একটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছে। ‘হেলথ কেয়ার ওয়েস্ট ইন বাংলাদেশ: কারেন্ট স্ট্যাটাস, দি ইমপ্যাক্ট অব কভিড-১৯ অ্যান্ড সাসটেইন অ্যাব ম্যানেজমেন্ট উইথ লাইফ সাইকেল অ্যান্ড সারকুলার ইকোনমি ফ্রেমওয়ার্ক’ শিরোনামের ওই গবেষণায় বলা হয়, দেশের অন্য যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় ঢাকায় বেশি চিকিৎসা বর্জ্য উৎপন্ন হয়। দিনে অন্তত ৫০ টন চিকিৎসা বর্জ্য তৈরি হচ্ছে এ শহরে। এর মধ্যে ২৬ শতাংশই বিপজ্জনক। এসব বর্জ্য বিভিন্ন মৌসুমে কম-বেশি হয়। সাধারণত আবাসিক হাসপাতালগুলো প্যাথলজিক্যাল ল্যাব ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেয়ে বেশি বর্জ্য উৎপাদন করে। আর রোগ নির্ণয় কেন্দ্রগুলো প্রধানত রাসায়নিক, সংক্রামক ও তেজস্ক্রিয়র বর্জ্য তৈরি করছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ‘এক্স-রে রুম থেকে যে রেডিয়েশনটা আসে এটা নিয়ে বিপুলসংখ্যক মানুষের মধ্যে অস্পষ্ট ধারণা রয়েছে। দরজায় কত ইঞ্চি পুরো দেয়াল থাকতে হবে, সিসা বা লেদ দিয়ে মুড়িয়ে দিতে হবে, সেটার ঘনত্ব কেমন হবে তা পরমাণু শক্তি কমিশন নির্ধারণ করে। যিনি এক্স-রে বা সিটি স্ক্যান করেন তার জন্য বিশেষ পোশাক রয়েছে। কমিশনের মান ও সনদ ব্যতিরেকে রেডিয়েশন কার্যক্রম চালালে তা দণ্ডনীয় অপরাধ।’

দেশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘ঢাকাসহ বড় শহরগুলোয় মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠেছে। চিকিৎসা বর্জ্য তৈরি হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোয় বিভিন্ন রঙের বিন থাকে। এ বর্জ্যগুলো সিটি করপোরেশন বা প্রিজম বাংলাদেশ ও যে হাসপাতালে বর্জ্য তৈরি হয় তাদের ত্রিপক্ষীয় চুক্তির অধীনে ব্যবস্থাপনার আওতায় নেয়া হয়। যাদের এ ব্যবস্থাপনা নেই তাদের মাধ্যমে ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।’

চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সরকার সচেতন বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বে চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি স্বীকৃত বিষয়। সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করা না হলে তা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে করার জন্য সরকারের নির্দেশনা রয়েছে। স্থানীয় সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এর জন্য কাজ করছে। দেখা যায়, হাসপাতাল থেকে সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনায় নিয়ে বর্জ্যগুলো পাঠানো হয়, কিন্তু যেভাবে ধ্বংস করার কথা ছিল তা করা হয় না। আরো কিছু বিষয় যুক্ত করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রকল্প নেয়া হয়েছে। সরকার চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টি নিয়ে সচেতন। রেডিয়েশনের কারণে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম। যারা রেডিয়েশন নিয়ে কাজ করেন তারা সুরক্ষা নিয়েই করছেন। তাদের কিছুটা ঝুঁকি থাকতে পারে। তবে হাসপাতাল পার্শ্ববর্তী বসবাসকারীরা কতটুকু ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, তা নিয়ে অধিকতর গবেষণা নেই।’

Source: Bonik Barta

Share the Post: