রাজধানীতে সরকারি বিশেষায়িত চিকিৎসা: ১১ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে অপ্রতুল আইসিইউ সুবিধা

সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য দেশের হাসপাতালগুলোয় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) শয্যা অপর্যাপ্ত। কখনো আইসিইউর অভাবে রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সরকারের সর্বোচ্চ বিশেষায়িত (টারশিয়ারি) হাসপাতালগুলোয় এ সংকট প্রকট। সময়ে সময়ে বিভিন্ন হাসপাতালে আইসিইউ স্থাপন ও শয্যা বাড়ানো হলেও চাহিদা অনুযায়ী এখনো তা অপ্রতুল। রাজধানীতে সরকারি ১১টি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে আইসিইউ শয্যার অপর্যাপ্ততার কারণে সংকটাপন্ন রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছে নিবিড় পরিচর্যা থেকে। একই সঙ্গে থামানো যাচ্ছে না চিকিৎসার জন্য রোগীদের নিজস্ব ব্যয় বৃদ্ধি।

যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা (এনএইচএস) বলেছে, সংকটাপন্ন রোগীদের চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণে বিশেষায়িত হাসপাতালে বিশেষ ওয়ার্ড হচ্ছে আইসিইউ। এতে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যসেবায় পেশাদারদের পাশাপাশি অত্যাধুনিক সরঞ্জামও থাকতে হবে। আইসিইউকে কখনো কখনো ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ), ইনটেনসিভ থেরাপি ইউনিট (আইটিইউ), নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট (এনআইসিইউ), পেডিয়াট্রিক কেয়ার ইউনিট (পিআইসিইউ), রেসপিরেটরি কেয়ার ইউনিট (আরআইসিইউ), নিউরো ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (নিউরোআইসিইউ), করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) ও বিভিন্ন নামে ভাগ করা হয়। কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে যেমন শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত, আগুনে দগ্ধ, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, গুরুতর সংক্রমণ (সেপসিস বা গুরুতর নিউমোনিয়া) থেকে রোগীকে সংকটাপন্ন অবস্থা থেকে ফেরাতে আইসিইউতে চিকিৎসা জরুরি হয়ে পড়ে। এসব রোগীর সিংহভাগই এক বা একাধিক অঙ্গের সমস্যায় ভোগেন।

দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় প্রতি বছরই বিভিন্ন পরিসরে বৃদ্ধি করা হচ্ছে আইসিইউ সেবা। তিন পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে আইসিইউ সেবার দরকার পড়ে না। মাধ্যমিক পর্যায়ের হাসপাতালের (জেলা/জেনারেল হাসপাতাল) কয়েকটিতে আইসিইউ সুবিধা রয়েছে। আর বিশেষায়িত সর্বোচ্চ পর্যায়ের (টারশিয়ারি) ইনস্টিটিউট এবং মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধা থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। এ পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কোনোটিতে আবার নেই আইসিইউ সুবিধা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চিকিৎসকের পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিগ্রির জন্য রাজধানীতে সরকারের পোস্টগ্র্যাজুয়েট (পিজি) ইনস্টিটিউট রয়েছে ১১টি। ডিগ্রি প্রদানের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট চিকিৎসার সর্বোচ্চ সেবার জন্য রয়েছে হাসপাতালও। এসব প্রতিষ্ঠানের আইসিইউ শয্যা রয়েছে প্রায় ২০০। আর সাধারণ শয্যার সংখ্যা ৬ হাজার। সাধারণ শয্যার অনুপাতে আইসিইউ শয্যা রয়েছে ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। গত বছর এসব হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল প্রায় দুই লাখ রোগী। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে ২০ লাখের কাছাকাছি এবং জরুরি বিভাগে আসে তিন লাখ রোগী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ছাড়াও সংশ্লিষ্ট ১১ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।

জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সাধারণ শয্যা রয়েছে ৫০০। এ হাসপাতালে আইসিইউ শয্যার সংখ্যা আটটি। বছরজুড়ে শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তির হার শতভাগ। দেশে ক্যান্সার চিকিৎসার একমাত্র সরকারি বিশেষায়িত এ প্রতিষ্ঠানটিতে সারা বছরই রোগীর উপচেপড়া ভিড় থাকে। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ১ হাজার ২৫০টি সাধারণ শয্যা রয়েছে। বিশেষায়িত এ হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা ৪০টি এবং সিসিইউ শয্যা ৪০টি। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন বণিক বার্তাকে জানান, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র সাধারণত অস্ত্রোপচারের পর রাখা যায়। আর কেউ হার্ট অ্যাটাকজনিত জটিলতা নিয়ে এলে তাকে জরুরি ভিত্তিতে সিসিইউতে নেয়া হয়।

১৩৫ শয্যার জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউট হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হলেও সেখানে কোনো আইসিইউর ব্যবস্থা নেই। জরুরি প্রয়োজন হলে রোগীকে নিকটবর্তী অন্য হাসপাতালে নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জাকারিয়া সরকার। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘অস্ত্রোপচারের পর অনেক রোগীরই আইসিইউ প্রয়োজন পড়ে। তবে এ হাসপাতালে আইসিইউ না থাকায় আগেই রোগীরা নিকটবর্তী কোনো হাসপাতালে কথা বলে রাখেন, যেন জরুরি প্রয়োজন হলে সেখানে নেয়া যায়। আমাদের হাসপাতালটিতে একটি শয্যা রাখা হয়েছে, যেখানে আইসিইউর কিছু সুবিধা রয়েছে। অস্ত্রোপচারের পরপরই কোথাও যদি আইসিইউর জন্য পাঠাতে হয় ততক্ষণ সেখানে রোগীকে প্রয়োজনীয় সেবা দেয়া হয়।’

কিডনি প্রতিস্থাপন অস্ত্রোপচারের পর রোগীকে আইসিইউতে রাখা অত্যাবশ্যকীয় হলেও আইসিইউর সুবিধা নেই জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে। ৫০০ শয্যার এ হাসপাতালে সম্প্রতি ১০ শয্যার আইসিইউ চালু করার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. বাবরুল আলম। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে নিয়মিত অস্ত্রোপচার হয়। আইসিইউ সুবিধা নতুন করে সংযুক্ত করা হয়েছে। শিগগিরই এটি চালু হবে। অস্ত্রোপচারের পর পর্যবেক্ষণের জন্য দুটি শয্যা রয়েছে। তাতে রোগীকে জরুরি সেবা দেয়া যায়।’

জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ৬৭০টি শয্যার জন্য আইসিইউ রয়েছে ২০ শয্যার। এ হাসপাতালে আরআইসিইউ রয়েছে ১০ শয্যার। নতুন অবকাঠামোয় হাসপাতালের মোট শয্যা বাড়লে সেখানে নিবিড় পরিচর্যার জন্য সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিচালক ডা. খায়রুল আনাম। ৫০০ শয্যার জাতীয় নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিউরো আইসিইউ শয্যা রয়েছে ১২টি। সারা বছই শতভাগ শয্যায় রোগী ভর্তি থাকে এ হাসপাতালে। নিয়মিত অস্ত্রোপচারও হয়। ১০০ শয্যার স্ট্রোক ইউনিটে রোগীদের পর্যবেক্ষণে পোটাবল মনিটরের সুবিধা রয়েছে বলে জানা যায়।

এদিকে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে কভিড মহামারীর সময় সাত শয্যার আইসিইউ ইউনিট স্থাপন করা হয়। তবে এটি চালু হয়নি। ২৫০ শয্যার বিশেষায়িত এ হাসপাতালে অস্ত্রোপচার-পরবর্তী চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় ঘাটতির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বহু রোগীর অস্ত্রোপচারের পরবর্তী চিকিৎসায় ত্রুটি ও জটিলতা দেখা যাওয়ায় তারা অন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা বণিক বার্তাকে বলেন, ‘কভিড মহামারীর সময় হাসপাতালে সাত শয্যার আইসিইউ বসানো হয়। এখন খুব একটা প্রয়োজন হয় না, তাই ব্যবহার করা হয় না। তবে প্রয়োজনে এটি ব্যবহার করা যাবে।’

অর্থোপেডিকের বিশেষায়িত সেবার সর্বোচ্চ সরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান। এক হাজার শয্যার এ হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের শয্যা সংখ্যা ২০টি। মহাখালীর ২৫০ শয্যার শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ১৬ শয্যার আইসিইউ ইউনিট রয়েছে, যা এইচডিইউ (হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট) থেকে রূপান্তর করা হয়েছে। এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম কিবরিয়া জানান, হাসপাতালটিতে আট শয্যার আইসিইউ সুবিধা ছিল। কভিডের সময় চাহিদা বেশি থাকায় আট শয্যার এইচডিইউকে আইসিইউতে রূপান্তর করা হয়। চাহিদানুযায়ী আইসিইউ সংকট রয়েছে। তবে সুবিধা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

আগুনে দগ্ধ রোগীর জন্য সরকারের বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। ৫০০ শয্যার হাসপাতালটিতে আইসিইউ সুবিধা রয়েছে ২০ শয্যার। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমরা পোড়া রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। বহুমুখী সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তবে চেষ্টার ঘাটতি নেই।’ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইউনস্টিটিউট ও হাসপাতালে কোনো আইসিইউ সুবিধা নেই। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মানসিক রোগীর চিকিৎসার জন্য সাধারণত কোনো আইসিইউর প্রয়োজন পড়ে না। তবে রোগীর যদি অন্য জটিলতা থাকে সেক্ষেত্রে ভিন্ন বিষয়।

রাজধানীতে সরকারি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ছাড়া বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট এবং মাতুয়াইলে বাংলাদেশ শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট রয়েছে। তবে এ প্রতিষ্ঠান দুটি ভিন্ন আইনে পরিচালিত হয়। সরকারের রাজস্ব খাতভুক্ত নয়।

বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোয় আইসিইউর শয্যা কত হবে—এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সোসাইটি অব ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন বলছে, শিশু হাসপাতাল, অন্যান্য হাসপাতালে সেবার পর্যায় ও হাসপাতাল এলাকার ভিন্নতা অনুযায়ী আইসিইউ শয্যা রাখতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রে হাসপাতালগুলোর সাধারণ শয্যার অনুপাতে ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ আইসিইউ শয্যা রয়েছে। একটি হাসপাতালে বিদ্যমান আইসিইউ শয্যার ৬৬ শতাংশের বেশি রোগী থাকলে আইসিইউ শয্যা বাড়াতে হবে। আর ভেন্টিলেটরে থাকা রোগী ৪০ শতাংশ হলে আইসিইউ শয্যা বাড়ানো হতে পারে।

একই কথা বলেছে যুক্তরাজ্যের ইনটেনসিভ কেয়ার সোসাইটি। সংস্থাটি বলছে, হাসপাতালের সেবার পর্যায়, স্থান, রোগীর চাপ, সংকটাপন্ন রোগী ভর্তির হারের ওপর নির্ভর করে আইসিইউ শয্যা রাখতে হবে। তবে মোট শয্যার ১২ শতাংশ শয্যা আইসিইউর জন্য রাখা উচিত।

দেশের হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আবু জামিল ফয়সাল। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য কাঠামোয় কোথায় কীভাবে অর্থ ব্যয় করা উচিত তা নিয়ে আদর্শিক পরিকল্পনার ঘাটতি রয়েছে। সঠিকভাবে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা হচ্ছে না। বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোয় সরকার আরো কিছু আইসিইউ ও বিশেষায়িত চিকিৎসার সুবিধা বৃদ্ধি করছে। তবে জেলা পর্যায়েও এসব সুবিধা থাকতে হবে। তাহলে মানুষ রাজধানীতে ভিড় করবে না। রাজধানীর ইনস্টিটিউট হাসপাতালগুলোয় আইসিইউ সুবিধা কম থাকা বা কোথাও কোথাও আইসিইউ না থাকার বিষয়টি বিস্ময়ের। বিশেষায়িত সেবার ক্ষেত্রে নিবিড় পরিচর্যার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে না। সর্বোচ্চ হাসপাতালে যেসব সুবিধা থাকতেই হবে তা অনেক ক্ষেত্রে পাওয়া যাচ্ছে না। সুবিধা বাড়াতে কিন্তু খুব বেশি ব্যয় হয় না। সংশ্লিষ্টদের দূরদৃষ্টি ও সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। আইসিইউ ছাড়া বিশেষায়িত সেবা হয় না।’

এ বিশেষজ্ঞের মতে, স্বাস্থ্যসেবার জন্য দেশের মানুষের ব্যক্তিগত বাড়তি ব্যয় (আউট অব পকেট এক্সপেন্ডিচার) ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা আরো বাড়তে থাকবে। কেননা দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে অনুপাতে হাসপাতালে শয্যা ও চিকিৎসা সুবিধা পর্যাপ্ত নয়। রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্যমূলক কার্যক্রমকে গুরুত্ব দিতে হবে। স্বাস্থ্য বলতে শুধু হাসপাতাল, অস্ত্রোপচার এবং ওষুধ নয়। রোগ প্রতিরোধ, স্বাস্থ্য সচেতনতাও গুরুত্বপূর্ণ। যে ব্যবস্থা নিলে শুরুতেই রোগ প্রতিরোধ করা যায়, সেখানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়ের সিংহভাগই হচ্ছে চিকিৎসায়। প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমেও ব্যয় বাড়াতে হবে। দেশে রোগে মৃতদের ৭০ শতাংশই অসংক্রামক রোগে মারা যায়। অথচ শুরু থেকেই প্রতিরোধ করা গেলে অসংক্রামক রোগ কমে আসত। জনস্বাস্থ্যমূলক দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

তবে সরকার বিশেষায়িত সেবার মান ও সুবিধা বৃদ্ধির ক্রমধারা অব্যাহত রেখেছে বলে বণিক বার্তাকে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, ‘সরকার বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোয় বিশেষায়িত সেবা বৃদ্ধিতে কাজ করছে। জেলা হাসপাতালগুলোরও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। কোনো কোনো জেলা হাসপাতালেও আইসিইউ রয়েছে। রাজধানীর ইনস্টিটিউট হাসপাতালগুলোয় আইসিইউ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বৃদ্ধির কার্যক্রম চলমান প্রক্রিয়া। বছর বছর সেবা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।’

Source: Bonik Barta

Share the Post: